গতকালই দিল্লীতে ডুবেছে গেরুয়া শিবিরের তরী। রাজধানীতে পদ্মের ভরাডুবির পর এবার গোটা দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের চোখই থাকবে ২০২১-এ বাংলায় হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। হাতে আরও একবছর মতো সময় থাকলেও এখন থেকেই কোমর বেঁধে নির্বাচনী-তৎপরতা শুরু করতে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, দিল্লীর খুইয়ে এবার বাংলার দিকেই বিশেষ নজর দিতে চায় বিজেপি। তারা চায় মমতার গড়ে এবার গেরুয়া রাজত্ব কায়েম করতে। আবার নিজেদের জমি কিছুতেই ছাড়তে নারাজ তৃণমূলও। তাই এ রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইটা মূলত তৃণমূল বনাম বিজেপিই হতে চলেছে বলে মনে করছেন সকলে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা তথা দলের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিজেপির সমস্ত চ্যালেঞ্জের প্রত্যুত্তর দিতে প্রস্তুত তাঁরা। তিনি বলেন, ‘মাত্র একজনই বাংলার বাঘিনী এখানে রয়েছেন। বাংলার মানুষ নিশ্চিতভাবে জানেন যে তাঁরা কী করতে চান।’
দিল্লীতে যেভাবে বিপুল জন সমর্থন পেয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে আপ, তার প্রশংসা করতেও শোনা যায় ডেরেককে। আপের জয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তাঁর টুইট, ‘বিজেপির সমস্ত নোংরা কৌশল ব্যর্থ। সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেও জয় পেল না তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জনগণ কীভাবে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরকে প্রত্যাখ্যান করছে এই হার তারই প্রতিচ্ছবি।’ উল্লেখ্য, এবার দিল্লী বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে তারা। যদিও ২০১৫ সালের থেকে কিছুটা কম আসন পেয়েছে আম আদমি পার্টি। যদিও গতবার তারা পেয়েছিল ৬৭ টি আসন। অন্যদিকে, ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন মন্ত্রী-সহ দলের অন্যান্য নেতাদের দিয়ে প্রচার চালিয়েও মাত্র ৮টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।