সবকটি বুথফেরত সমীক্ষাতেই মিলেছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত। সেই মতোই মঙ্গলবার দিল্লীর গদি ধরে রেখে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর দল আম আদমি পার্টি। আপ-এর জয়ে খুশি এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার বলেন, ‘দিল্লীতে মোদী-শাহ ম্যাজিক ব্যর্থ হয়েছে। নিরঙ্কুশ জয়ের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আপ কর্মীদের শুভেচ্ছা।’
অন্যদিকে, গতকাল গোহারা হারায় বিজেপিকে বিঁধে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘দিল্লীতে মন কি বাত-কে টেক্কা দিয়েছে জন কি বাত। দিল্লীবাসী জন কি বাত শুনেছে, মন কি বাত নয়। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার রয়েছে। তাদের নাকি জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। দিল্লীর ভোটে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েও ঝাঁটার কাছে হেরেছে তারা।’
উল্লেখ্য, গতকাল গণনা শুরুর গোড়া থেকেই এগিয়ে ছিল আপ। আপের জয়ের খবর পেয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে পাওয়ার বলেন, বিজেপি ধ্বংসের রাজনীতি করলেও তা কাজে আসেনি। বিজেপির থেকে এখন দিল্লী মুখ ফিরিয়েছে। আগেই (২০১৯, অক্টোবর) তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে মহারাষ্ট্র। আগামী লোকসভা ভোটেও একই ছবি দেখা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি টুইট করে বলেন, ‘২০২০ সালের দিল্লী বিধানসভা ভোটে জয়ের জন্য আম আদমি পার্টি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা।’ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব টুইট করেছেন, ‘বিজেপির ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন দিল্লির জনগণ। তাঁরা উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে সাম্প্রদায়িক রং লাগাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাদের বিদ্বেষমূলক প্রচার কুপোকাত হয়েছে।’
ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন টুইট করেছেন, ‘বিপুল জনমত নিয়ে দিল্লিতে আবার সরকার গঠনের জন্য আম আদমি পার্টি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা। উন্নয়নের কাছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পরাস্ত হয়েছে। দেশের স্বার্থে রাজ্যগুলির অধিকার বজায় রাখতে হবে।’ কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলেন, ‘আপের জয়ে আমরা খুশি। আমরা নিশ্চিত আপ দিল্লীবাসীর জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।’
এনসিপির জাতীয় মুখপাত্র নবাব মালিক বলেন, ‘বিজেপির ঔদ্ধত্য ধরাশায়ী করেছে দিল্লীবাসী। ঘৃণা আর বিভেদের রাজনীতি ব্যর্থ হয়েছে। জয় হয়েছে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শ। ঔদ্ধত্যের রাজনীতিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে দিল্লীর জনতা।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘ভোটারদের কাছে দেশবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন মোদী। দিল্লীর মানুষ মোদীজির ডাকে সাড়া দিয়েছে। বিজেপিকেই এখন দেশবিরোধী শক্তি বলে ঘোষণা করেছে।’