তৃতীয় বারের জন্য জয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যেতেই দিল্লীর বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সভা থেকে সেই কথা জনতাকে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে যে শেষ হাসি হাসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এটা জানার পর বিজেপি বিরোধিতার ঝাঁজ বাড়িয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন মমতা। বক্তব্যের শুরু থেকেই শেষপর্যন্ত তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন। অন্য দিনের থেকে এদিন তাঁর বক্তব্যে বিজেপি বিরোধিতার সুর ছিল বেশ চড়া।
কেজরিওয়ালকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানানোর কথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, দিল্লী-সহ পরপর রাজ্যে হেরেছে বিজেপি। এই বিজেপি স্বপ্ন দেখছে বাংলায় তৃণমূলকে হারাবে। কিন্তু, আমি বলছি, ২১-শে বিজেপিকে শিক্ষা দেবে এই বাংলা। ধাক্কা মেরে তৃণমূলকে সরানো যাবে না। টাকার হোসপাইপ নিয়ে ভোট করছে বিজেপি। মনে রাখবেন, আপনাদের টাকার থেকে এই বাংলায় মা-বোনেদের শঙ্খ-উলুধ্বনির জোর বেশি। যে বিজেপি মানুষের ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করেছে, সেই বিজেপি এখন মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী আগাগোড়াই বিজেপিকে নিশানা করে বক্তব্য রাখেন।
বাঁকুড়ায় এই কর্মিসভায় জেলার প্রায় ৬০ হাজার কর্মী হাজির ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলার নেতারা। পরদিন বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ায় একটি প্রশাসনিক সভায় যোগ দেবেন। রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ওই প্রশাসনিক সভায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের জেলা ও ব্লক স্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার রবীন্দ্রভবনের প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুর যাওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, আসন্ন পুর নির্বাচন ঘিরে এখনই মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও নদীয়ার রানাঘাটে পরপর সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি কর্মী সম্মেলনও করেন তিনি। তাতে দলের কর্মীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশ দেন তিনি। পুর ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতেই আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রী আসরে নেমে পড়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।