এক্সিট পোলেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে ফের একবার দিল্লীর মসনদে বসতে চলেছেন কেজরিওয়াল। কিন্তু এরপরেই বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের ধারণা ছিল হয়তো শেষমুহূর্তে খেলা ঘুরবেই। দিল্লী দখল করবে বিজেপিই। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে যা ট্রেন্ড তাতে পরিস্কার দিল্লীতে হ্যাট্রিকের পথে কেজরিই। আর ট্রেন্ড দেখেই হার মেনে নিল বিজেপি। নজিরবিহীনভাবে দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে যেভাবে হোডিং পড়ল তাতে এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিকমহলে।
এদিন সকাল থেকেই কার্যত ফাঁকা দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতর। এর মধ্যে বিজেপির অফিসের বাইরে একটি হোর্ডিং দেখা যায়, ‘জয়ে আমরা অহংকারী হই না। পরাজয়ে আমরা নিরাশ হই না।’ হোর্ডিংয়ের একাংশে বড়বড় করে রয়েছে অমিত শাহের ছবি। এক ঝলকে দেখে মনে হচ্ছে, অমিত শাহই এমনটাই বলছেন। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল সেই ছবি। আর সেই ছবি ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলের কটাক্ষ, তাহলে সব দম্ভ চুরমার। দিনের শুরুতেই হার স্বীকার করে নিল বিজেপি? যদিও এই বিষয়ে একেবারেই স্পিকটি নট বিজেপি নেতৃত্ব।
দিল্লীর নির্বাচনে বিজেপি এবং আম আদমির কাছে যথেষ্ট প্রেস্টিজিয়াস ফাইট ছিল। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখা অন্যদিকে দিল্লী দখল করাটা শাহ-মোদীদের কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে ফের একবার দিল্লীর মসনদে মোদী। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে একের পর এক রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। কোথাও ক্ষমতা হারিয়েছে তো কোথাও আবার রাজ্য দখলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। কিন্তু এরপরেও বিজেপির সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেও দিল্লীর যুদ্ধ ছিল অমিতের কাছে মর্যাদার লড়াই। তাই পূর্ণশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিলেন তিনি। একাধিক প্রচার সভা করেছেন খোদ মোদীও।
কিন্তু তারপরও বুথফেরত সমীক্ষায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল আপ। যদিও তাতে পাত্তা দেয়নি বিজেপি। বরং তারা এতদিন দাবি করে আসছিল, ফলাফলের দিন পাশা পালটে যাবে। যদিও ভোটগণনার সকালেই প্রাথমিক টেন্ড্র সামনে আসতে দেখা যায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে আপই। যা দেখে রাতারাতি বদলে গিয়েছে দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরের ছবিটা।
অন্যদিকে, ক্ষমতায় ফের কেজরিই ফিরছেন, এই ট্রেন্ড দেখা মাত্র দিল্লীতে আপের দফতরে শুরু হয়ে গেছে বিজয় উৎসব।