ভিনি..ভিডি..ভিসি…কথাটা জুলিয়াস সিজারের। চার ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রায় বিনা বাধায় পন্টুস রাজ্য দখলের পর রোমের সিনেটকে ওই তিন শব্দে জয়ের খবর জানিয়েছিলেন সিজার। এই ঘটনা খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭ সালের। দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে প্রবাদে পরিণত হওয়া এই কথাটা মনে করিয়ে দিলেন আবার আপের তারকা প্রার্থী রাঘব চড্ডা। রাজধানীর জনগণের হৃদয় আগেই করেছিলেন। এ বার নির্বাচনেও জয়ী হলেন রাঘব চড্ডা। রাজেন্দ্রনগর কেন্দ্র থেকে এই আপ প্রার্থী জয়ী হলেন ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে। একে সুদর্শন, তার উপর পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। নির্বাচনের আগেই ‘উপযুক্ত পাত্র’-র তকমা পেতে তাঁর সময় লাগেনি। এই নির্বাচনে ‘আপ’-এর তারকা প্রচারকারীর অন্যতম ছিলেন রাঘব। তাঁর বিশেষ মিডিয়া টিম জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে বিয়ের প্রস্তাবে ভেসে গিয়েছে তাঁর টুইটার হ্যান্ডল। এক মহিলা তো রাঘবকে সরাসরি ট্যাগ করে টুইটারে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেছেন! তবে শুধুই ভার্চুয়াল নয়। প্রস্তাব আসছে মুখোমুখিও। সম্প্রতি একটি স্কুলে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এক শিক্ষক এই আপ প্রার্থীর সামনেই বলেছেন, তাঁর নিজের মেয়ে থাকলে রাঘবকে জামাই করতেন। অনেকে আবার মুখে কিছু বলছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাঘবের যেখানে যত প্রোফাইল আছে, কমেন্টবক্স ভরিয়ে দিচ্ছেন লভ-ইমোজি দিয়ে।
জনৈক তরুণী টুইটারেত্তি আবার এত ইঙ্গিতে বিশ্বাসী নন। তবে তিনি সরাসরি বিয়ের প্রস্তাবও দেননি। বরং বলেছেন, রাঘব যেন আর কাউকে বিয়ে না করেন। তা হলে তাঁর হৃদয় ভেঙে যাবে। বিয়ের বাজারে চাহিদার তুঙ্গে থাকা রাঘব নিজে কী বলছেন? সলাজ হেসে চেষ্টা করছেন এই প্রসঙ্গ থেকে দূরে থাকার। কিন্তু জনসংযোগের ক্ষেত্রে তো সবসময় দূরে থাকাও যায় না। তাই এক তরুণীর প্রস্তাবের উত্তরে রাঘব জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি এখন বেহাল। ফলে বিয়ের উপযুক্ত সময় এটা নয়। তবে রাঘবের এটাই প্রথম নির্বাচন-অভিযান নয়। এর আগে তিনি লোকসভা ভোটে দক্ষিণ দিল্লি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সে বার অবশ্য তিনি জিততে পারেননি। এ বার রাঘবের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির প্রবীণ প্রার্থী আর পি সিংহ এবং কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী পঁচিশ বছর বয়সি রকি তুসিদ। নির্বাচনের পরে আগামী দিনে কি রাঘবের ক্রাশ-ব্যাঙ্ক আরও বাড়বে ? উত্তর সময়ের অপেক্ষায়।