বাংলার চা-শ্রমিকদের জন্য নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যজুড়ে প্রায় তিন লক্ষাধিক চা-শ্রমিককে স্থায়ী বাসস্থান দিতে সোমবার রাজ্য বাজেটে ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
চা-শ্রমিকদের পাকাপাকি মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘চা-সুন্দরী।’ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যে প্রায় ৩৭০টি চা বাগান আছে। সেখানে কাজ করেন তিন লক্ষাধির চা-শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশই মহিলা। এই চা-শ্রমিকদের সিংহভাগ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁদের বেশিরভাগেরই মাথা গোঁজার জায়গা নেই। ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের আওতায় আগামী তিন বছর রাজ্য সরকার চা-বাগানে স্থায়ীভাবে কর্মরত গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা করবে। তারজন্য আগামী অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজেট পেশের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যে অনেক চা-শ্রমিক আছেন যাদের মাথা গোঁজার জায়গা নেই। তাঁদের জন্যই এই চা সুন্দরী প্রকল্প। বন্ধ চা বাগানগুলির শ্রমিকদের এখনই অনেক সুবিধা দেয় রাজ্য সরকার। বিনা পয়সা বিদ্যুৎ, রেশন, মিড-ডে মিল, নিখরচায় চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ অনেক সুবিধাই আছে। এবার গৃহহীনদের বাসস্থান দেওয়াও লক্ষ্য ছিল আমাদের।’
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চা-শ্রমিকদের ২ টাকা কেজি দরে চাল ছাড়াও, নিখরচায় বিদ্যুৎ, চিকিৎসার ব্যবস্থা, মিড-ডে মিল ও আরও নানা সুবিধা রয়েছে। এবার এর সঙ্গে যোগ হল ‘চা-সুন্দরী’ প্রকল্পের সুবিধা।