‘কেন্দ্র আমাদের বঞ্চিত করছে। প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা প্রাপ্য থাকলেও এখনও পাইনি আমরা। তারপরেও আমরা জনমুখী বাজেট পেশ করারই চেষ্টা করেছি।’ বাজেট প্রস্তাব পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, এই বাজেট জনগণের সরকারের বাজেট, এই বাজেট জনগণের দরকারের বাজেট।
কেন্দ্রীয় বাজেটে একদিকে যেমন দেখা গিয়েছিল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেখানেই রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল প্রায় সব ক্ষেত্রেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষায় ২০ গুণ এবং কৃষিক্ষেত্রে প্রায় ১০ গুণ বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে তাঁর সরকার। রাজ্যে তৈরি হবে ৩ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। তারমধ্যে কৃষ্ণনগরে হবে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তপশিলি জাতির পড়ুয়াদের জন্য হবে আম্বেডকর ইউনিভার্সিটি। এছাড়াও আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে বলে বাজেটে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কেবলমাত্র শিক্ষাই নয়, বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের সুযোগ তৈরি করতে কর্মসাথী প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন অমিত মিত্র। এই প্রকল্পে বেকার যুবক-যুবতীদের ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া চা শিল্পের গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য। এবারের রাজ্য বাজেটে রয়েছে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা হল গরিব প্রান্তিক মানুষদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিতে আসছে হাসির আলো প্রকল্প। এতে ৩৫ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন। যে সব পরিবারে ৩ মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুত ব্যবহার হয়, তার জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না।
সব মিলিয়ে বাজেট প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রের থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা প্রাপ্য থাকলেও, বাজেটকে জনমুখী করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ থেকে ইজ অফ ড্যুয়িং বিজনেস, সবেতেই বাংলা বাকিদের অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী দিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত বঙ্গবাসীর জীবন আরও সহজ করে তুলতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’