দেশের দৈন্যতার কারণ বাংলা নয়, আর্থিক বৃদ্ধির হারে বাংলা পিছিয়ে নেই। রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ১০.৪ শতাংশ এখনও।
সোমবার দ্বিতীয় মমতা সরকারের শেষ দফায় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিন বাজেটে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। সাথে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন শিক্ষাক্ষেত্রে, কর্মসংস্থানে এবং গরীব মানুষের সার্বিক উন্নয়নের দিকে। এদিন বাজেট পেশ করার আগে দেশের বর্তমান অর্থব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থব্যবস্থা এই মুহূর্তে একেবারে ভেঙে পড়েছে। জিডিপি বৃদ্ধির হার একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
পাশাপাশি এই মুহূর্তে দেশে বেকারত্বের হার বিগত ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি।’ এই বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে বর্তমানে বাংলার অর্থব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯–২০ সালে বাংলায় শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার দেশের তুলনায় পাঁচগুণ। সম্প্রতি বাংলায় শিল্পোৎপাদন ৩.৮ শতাংশ বেড়েছে। কোথায় গেল মোদি সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া? কোথায় গেল গালভরা আচ্ছে দিনের স্লোগান? রাজ্যের জিডিপির হার ১০.৪ শতাংশ। দেশের দ্বিগুণ আর্থির বৃদ্ধির হার বাংলায়। বাংলায় ২২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলায বিনিয়োগ করার জন্য মুখিয়ে আছেন। গৃহনির্মাণে, ক্ষুদ্রশিল্প, গ্রামীণ রাস্তা, স্কিল ডেভলপমেন্ট, মাইনরিটি স্কলারশিপে বাংলা প্রথম। বাংলা এখন সারা দেশের মডেল, গুড গভর্নেন্সের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বাংলা। গ্লোবাল বিজনেস সামিটে পাঁচ বছরে বিশাল বিনিয়োগ এসেছে। বড় শিল্পের ক্ষেত্রে ৪.৪৫ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়েছে। ই–গভর্নেন্স এবং ই–টেন্ডারিং–এও প্রথম বাংলা। পাশাপাশি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য।’
এদিন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দেশে বিভাজন তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণেই দেশের কৃষকরা আজ বিপন্ন।’ কেন্দ্রের সরকার কখনোই দেশের উন্নয়নের কাজে তৎপর হয়নি।