শনিবার সন্ধে ৬টায় শেষ হয় দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচন। সেদিন মূলত দিল্লীর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টেই উঠে এল, দিল্লীতে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে মির্জা গালিবের মহল্লায়। চাঁদনি চকের বল্লীমারান কেন্দ্রে। কমিশন জানিয়েছে, দিল্লীর বল্লীমারানে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে— ৭১.৬ শতাংশ। সীলমপুরে ৭১.২২ শতাংশ। নাগরিকত্ব আইন পাশের পরে এই সীলমপুরেই হিংসা ছড়িয়েছিল। আর যে বিধানসভা কেন্দ্রের শাহিনবাগকে নিশানা করে ভোটের গোটা প্রচারটিই করে গেলেন অমিত শাহ, সেই ওখলাতেও ৫৮.৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আপের নেতারা বলছেন, বিজেপি এ বারের লড়াইটিকে ‘অমিত শাহ বনাম শাহিন’ বাগ করে তুলেছিল। বুথ-ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট, শাহিনবাগ হারাচ্ছে বিজেপিকে। হইহই করে ফের ক্ষমতায় আসছেন কেজরিওয়ালই। এই বুথ-ফেরত সমীক্ষা মিলে গেলে কি নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে মোদী সরকারের কাছে? কেজরিওয়ালের জয়ে বিরোধীরা অক্সিজেন পেলে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী (এনপিআর)-র কাজও কি থমকে যাবে? এই আশঙ্কা এখন বিজেপি শিবিরেও। দলের এক নেতা বললেন, ‘বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলি বলছে, তাদের কর্মীরা এনপিআরের কাজ করবেন না। সেক্ষেত্রে আঁচ তো জনগণনাতেও পড়বে!’