সরকারি চাকরির সংরক্ষণ নিয়ে আবার তেতে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। বিজেপি এবং আরএসএস দলিত-বিরোধী বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুলের বক্তব্য, ‘বিজেপি এবং আরএসএস–কে সংরক্ষণ শব্দ খোঁচা দেয়। ওরা সব সময়ই সংরক্ষণের বিপক্ষে। ওরা কখনওই দলিতদের উন্নয়ন চায় না।’ তবে মোদি এবং মোহন ভাগবতের ওই স্বপ্ন কংগ্রেস কখনও পূরণ হতে দেবে না বলে দলিত সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছেন রাহুল।
পরে সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সেখানেও শীর্ষ আদালতের এই রায় রাজনৈতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে তুমুল হইচই জোড়ে বিরোধী সাংসদরা। আপনা দলের সাংসদ অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, ‘এটাই আজ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের সব চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত’। এলজেপি সাংসদ চিরাগ পাসোয়ান বলেন, ‘সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয়, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই।
কেন্দ্রকে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে আবেদন করছি।’ রায় পুনর্বিবেচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা।
জবাবে সরকারের তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘এটা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। ভারত সরকারের এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সমাজ কল্যাণমন্ত্রীর বিবৃতির জন্য।’ এই ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার জন্য কংগ্রেসকে উল্লেখ করে টিপ্পনীতে রাজনাথ তাদের মনে করিয়ে দেন, ২০১২ সালে যখন এ মামলা শুরু হয়েছিল, তখন উত্তরাখন্ডে কংগ্রেসই ক্ষমতায় ছিল।
হট্টগোলের জেরে তাৎক্ষনিকভাবে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। উত্তরাখন্ড সরকারের বিরুদ্ধে দলিত সম্প্রদায়ের একটি মামলার রায়ে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সরকারি চাকরি এবং পদোন্নতি কোনো ব্যক্তিবিশেষেরই মৌলিক অধিকার নয়। তাই এজন্য আদালত কখনওই কোনও রাজ্য সরকারকে বাধ্য করতে পারে না। এরপরই তুমুল আলোরণের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।