অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার। তারপরই দেখা যাবে, আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপটা পরপর দু’বার কি ঘরেই রেখে দিতে পারবে ভারত? নাকি বিশ্ব ক্রিকেটকে চমকে দেবে বাংলাদেশ? চার বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত জিতলে সেটা হবে স্বাভাবিক ঘটনা। এ বার যুব বিশ্বকাপ জয়ের ‘হাই ফাইভ’-এর স্বপ্ন। বাংলাদেশ জিতলে ইতিহাস। তার আগে দু-দেশেই বইছে শুভেচ্ছার হাওয়া।
আজ কি জয় হবে টিমগেমের? না কি ব্যক্তিগত নৈপুন্যে ‘নায়ক’ হবেন কেউ? দু-দেশেই এমন ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা একক দক্ষতায় ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। ভারতে যেমন রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। পাঁচ ম্যাচে ইতিমধ্যেই ৩১২ রান করে ফেলেছেন তিনি। বিরাট কিছু অঘটন না ঘটলে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা তাঁরই থাকবে। তাঁর পরেই রয়েছেন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু রানের হিসেবে ১২৪ রানে পিছিয়ে।
এই মাহমুদুলের ব্যাটের দিকেই অবশ্য তাকিয়ে বাংলাদেশ। তিনিই বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরি ফাইনালে তুলেছে টিমকে। এই টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ৫৮.৬৬। আজ ফাইনালে জয়কে তাড়াতাড়ি ফেরানোর পরিকল্পনা নিশ্চয়ই ছকে ফেলেছেন ভারতীয় বোলাররা। আর সেই দায়িত্বটা নিতে হতে পারে ভারতের পেসার কার্তিক ত্যাগীকে।
উত্তরপ্রদেশের ছেলে কার্তিক নতুন এবং পুরোনো দুই বলেই সমান বিপজ্জনক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার উইকেট, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। আবার যে পিচে ফাইনাল হবে, সেখানেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল। উইকেটে গতি আছে যথেষ্ট। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সঙ্গে থাকবেন আর এক পেসার সুশান্ত মিশ্র। বাংলাদেশ আবার তাদের বোলিংয়ের ভার তুলে দেবে তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলামের হাতে।
ভারত অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গের আবার সাফ কথা, ‘পাঁচ নম্বর বিশ্বকাপটা জেতা ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না আমরা।’ তবে এখনও পর্যন্ত দুটো টিমই কোনও ম্যাচ হারেনি। এটাই বাড়তি প্রেরণা দিচ্ছে দুই টিমের ক্রিকেটারদের। এই টুর্নামেন্টই দরজা খুলে দেয় সিনিয়র টিমের। সেটা মাথায় রেখেই খেলতে নামবেন প্রিয়ম-আকবররা। ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের নাম ছিল বিরাট কোহলি! বাকিটা ইতিহাস। অজিঙ্ক রাহানে-চেতেশ্বর পূজারার মতো সিনিয়ররা ইতিমধ্যেই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টিম ইন্ডিয়াকে।