গত মাসের একদম শেষদিন ৩১ জানুয়ারি এবং চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারি- এই দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। সেই স্মৃতি এখনও আমজনতার মনে টাটকা। এরমধ্যেই আগামী মাসে ফের ধর্মঘটের ডাক দিল কর্মী সংগঠন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে তারা। যার জেরে বহু ব্যাঙ্ক এবং এটিএম টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে আগামী মাসে সাধারণ মানুষকে ফের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হতে পারে।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনগুলি। এ নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তাঁরা। গত জানুয়ারিতে আইবিএ-র সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নগুলির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের পথে গিয়েছিল মোট ন’টি ইউনিয়ন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি না পূরণ না করলে ফের ধর্মঘটের পথে যাওয়া হবে বলে আগেই হুমকি দিয়েছিল তাঁরা।
সূত্রের খবর, কমপক্ষে ১৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি। অন্যদিকে, ১২.২৫ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি বৃদ্ধিতে রাজি হয়েছে আইবিএ। এই প্রস্তাবে ট্রেড ইউনিয়নগুলি খুশি নয়। দাবি না মানা হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের হুমকি আগেই দিয়েছে তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আইবিএ-র সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নগুলির নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই শনিবার অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ) এবং ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (বিইএফআই) জানিয়ে দিল, এই আলোচনা ভেস্তে গেলে আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ তাঁরা ফের ধর্মঘটের পথে যাবে।
১১ মার্চ বুধবার। ফলে শেষ পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে ধর্মঘট হলে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যাঙ্কের কাজকর্ম বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা। এ দিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে। আর রবিবার সাপ্তাহিক ব্যাঙ্ক বন্ধের দিন। ফলে ১১ মার্চ থেকে তিন দিনের প্রস্তাবিত ধর্মঘট হলে টানা ৫ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গ্রাহকদের মনে।