শনিবার গোয়ার পানাজিতে শুরু হয়েছে দু’দিন ব্যাপী আরএসএস কনক্লেভ ‘বিশ্বগুরু ভারত’। সেখানেই বক্তব্য পেশ করেন আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি যোশি। সেখানেই এদেশে কাজ করার ‘গাইড লাইনে’র ঘোষণা করেন তিনি। বলেছেন, ‘আমরা এই সভ্যতার সাক্ষী হয়েছি, এই সভ্যতা যা ভারতের উত্থানের এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। হিন্দুদের জন্যই ভারতের অস্তিত্ব এখনও রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতকে হিন্দুদের থেকে পৃথক করা যায় না। এ দেশের কোটি কোটি মানুষ হিন্দু। তাই যে বা যারা এই দেশে কাজ করতে চায় তাঁকে বা তাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেই কাজ করতে হবে।’ এখানেই থেমে না থেকে ভাইয়াজি যোশীর সংযোজন, ‘এদেশে কাজ করতে হলে- হিন্দুদের পক্ষে কাজ করতে হবে, হিন্দুদের আরও ক্ষমতায়ন করতে হবে।’
এর আগে মোদী সরকার বারংবার দাবি করেছে ২০২০ সালের মধ্যে ভারত ‘সুপার পাওয়ারে’ পরিণত হবে। আরএসএস নেতার কথায়, এটি একটি বিশ্বাস এবং বহু প্রতীক্ষিত একটি বিষয় যা বেশিরভাগ বিশ্বাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সুরেশ ভাইয়াজি যোশীর প্রশ্ন, ‘শক্তি ও রাষ্ট্র সমান বলে আমি মনে করি। যদি কারোর ভাবনা বা আচরণে ভারত ও তার সংস্কৃতিবোধ না থাকে তবে আমরা কীভাবে সুপার পাওয়ারে পরিণত হব?
‘ভারত ভাবনা’র উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন আরএসএস-এর এই সাধারণ সম্পাদক। এক্ষেত্রে তিনি ম্যাক্স মুলার ও আল্লামা ইকবালের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। তাঁর দাবি, ‘ভারতের পতন নেই। বহু নেতিবাচক ঘটনা সত্ত্বেও এ দেশ এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে ও ক্রমশ তার বিকাশ ঘটছে। বস্তুত, ভারত অনন্তকাল থেকে ছিল এবং এটি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকবে। সেই অর্থে হিন্দু-সমাজের কোনওদিনই পতন ঘটবে না।’ কিন্তু ভারতে যেখানে বহু ধর্মাবলম্বীদের বাস, সেখানে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই উন্নতির কথা বলছেন। সেহেতু তাঁর বক্তব্যেই ধর্মীয় মেরুকরণের ইঙ্গিত স্পষ্ট।