কি হতে চলেছে দেশের রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল? আগামী সময়ে ভারতের রাজনীতি কোন পথেই আবর্তিত হবে? দিল্লীর ক্ষমতা থাকবে কার হাতে? এহেন বহু প্রশ্নের জবাব নিয়ে অপেক্ষা করছে দিল্লী। বহু আঙ্গিকে এই নির্বাচন আলাদাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা যে ইস্যুর উপর ভিত্তি করে এই ভোট লড়া হয়েছে সেটাই সবচেয়ে বড়। বিজেপি পুরোপুরি শাহিনবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভোট লড়েছে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি হাতিয়ার করেছে ৫ বছরের উন্নয়নকে।
আরও একটি বিষয় এই নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। তা হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের আদৌ সমর্থন রয়েছে নাকি নেই। শাহিনবাগের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে সিএএ জড়িত থাকার কারণেই এই প্রশ্ন বারবার করে উঠছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লীতে তুলনামূলক কম মানুষ ভোট দিয়েছেন। গতবার অর্থাৎ ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসন দখল করে ক্ষমতায় এসেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এবার আসন কমবে নাকি বেড়ে যাবে, তার জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি অপেক্ষা করতে হবে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ মানুষ দিল্লীতে ভোট দিয়েছেন। আর সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছে বহু প্রতীক্ষিত এক্সিট পোল। ফলাফল ঠিক কেমন হতে চলেছে সেই ইঙ্গিত সর্বদাই ভোটগ্রহণের দিনই দিয়ে থাকে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার এক্সিট পোল। আর ভোটাভুটি শেষ হতেই সেদিকেই নজর থাকে গোটা ভারতের। তবে এই এক্সিট পোল সবসময় ১০০ শতাংশ সঠিক হয় না। কখনও ভুল-ভ্রান্তি ও আসন সংখ্যা এদিক-ওদিক হয়েই থাকে। তবে একটা অনুমান পাওয়া যায় এই এক্সিট পোলের মাধ্যমে।
‘ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া’ এক্সিট পোল দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে আপ-কেই এগিয়ে রেখেছে। বলে রাখা ভাল, লোকসভা ভোটের সময় এই ‘ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া’ গ্রুপই সবথেকে নিখুঁত এক্সিট পোল প্রকাশ্যে এনেছিল। সবকটি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে কেবল ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপই একেবারে নিখুঁতভাবে মিলিয়ে দিয়েছিল ফলাফল। আর এই সংস্থাই বলছে, কেজরি ঝড়ের সামনে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে পারে বিজেপি। ৭০-এর মধ্যে ৬৮টি আসনেই জিততে পারে আমি আদমি। এমনটাই বলছে সেই সমীক্ষা। আর তারপরই প্রমাদ গুনছে দিল্লীর বিজেপি শিবির।