শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্তিল ও হেনরি নিকোলস। ওপেনিং জুটিতে ৯৩ রানের অবদান রেখে নিকোলস ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হলে গাপ্তিল-ব্লান্ডেল জুটি যেভাবে জাঁকিয়ে বসেছিলেন ভারতীয় বোলারদের উপর একসময় নিউজিল্যান্ডের জন্য ৩২০-৩২৫ রান বাঁধা ছিল। কিন্তু হঠাতই মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন ভারতীয় বোলাররা। ১৪২/১ থেকে ১৯৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য তখন মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর সেট করা।
এদিন টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। শুরুটা অবশ্য একেবারে মেজাজেই করেছিলেন মার্টিন গাপ্টিল ও হেনরি নিকোলস। খুব দ্রুত রান তুলছিলেন তারা। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হতে থাকা দুই কিউয়ি ওপেনারকে থামাতে স্পিনার নিয়ে আসেন কোহলি। আর তাতেই কেল্লাফতে। ১৭তম ওভারে চাহালের বলে লেগ বিফোর হন হেনরি (৪১)। এরপর তৃতীয় উইকেটে টম ব্লান্ডেল ও গাপ্টিল কিছুটা প্রত্যাঘাত করতে চাইলেও টমকে ফেরান শার্দূল (২২)।
আর এরপরেই যেন ধস নামে ব্ল্যাক ক্যাপস ব্যাটিং লাইন আপে। গত ম্যাচে যে ভারতীয় বোলাররা একেবারে নির্বিষ হয়েছিলেন, আজ তারাই যেন আগুন ঝরাতে শুরু করেন। মার্টিন গাপ্টিল বেশ অনেকক্ষণ ধরেই ভারতীয় বোলারদের সামলালেও ব্যক্তিগত ৭৯ রানে রান আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর ভারতীয় বোলারদের দাপটে পরপর ফিরে যান অধিনায়ক লাথাম (৭), নিশাম (৩), গ্র্যান্ডহোমরা (৫)। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে কার্যত নুইয়ে পরে কিউয়ি মিডল অর্ডার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। দুটি উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। একটি উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা। ভাল বল করলেও উইকেট পাননি নভদীপ। অন্যদিকে, বুমরাহ বল হাতে সেইভাবে ছাপই ফেলতে পারেননি।