চিনের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছে ৬৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ধার করেছিলেন শিল্পপতি অনিল অম্বানী। সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলি মামলা করেছে লন্ডনের কোর্টে। শুক্রবার অনিল আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রতিটি বিনিয়োগেই ক্ষতি হয়েছে। তাঁর মূল্য এখন শূন্য। এই অবস্থায় যদি তাঁকে কোর্টে অর্থ জমা রাখতে বলা হয়, তিনি হয়তো মামলা চালানোর খরচই জোগাড় করতে পারবেন না। এরপর লন্ডনের কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনিলকে আদালতে জমা দিতে হবে ১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৭১৫ কোটি টাকার বেশি।
৬০ বছর বয়সী অনিলের বিরুদ্ধে দেশেও ঋণের অর্থ ফেরত না দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল গতবছর। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস যদি এরিকসন এবির ভারতীয় শাখাকে অবিলম্বে ৫৫০ কোটি টাকা ঋণ না শোধ করে, তাহলে অনিলকে জেলে পাঠানো হবে। সেই সময় তাঁর দাদা মুকেশ ঋণের টাকা দিয়ে দেন। সেজন্য অনিলকে জেলে যেতে হয়নি।
যে তিনটি ব্যাঙ্ক অনিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারা হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব চায়না, চায়না ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং একজিম ব্যাঙ্ক অব চায়না। ব্যাঙ্কগুলির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আমরা সরল বিশ্বাসে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসকে ঋণ দিয়েছিলাম। অনিল অম্বানী ব্যক্তিগতভাবে গ্যারান্টার হয়েছিলেন। আমাদের আশা, তিনি আদালতের রায় মেনে চলবেন। আশা করা যায়, দ্রুত মামলা মিটে যাবে।”
রিলায়েন্স গ্রুপ জানিয়েছে, তারা কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবে। আবেদন করার জন্যও অনুমতি চাইতে হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অনিলের এক মুখপাত্র জানান, তিনি এখন কোর্টের রায় খতিয়ে দেখছেন। এরপর আইনি পরামর্শ নেবেন। একইসঙ্গে ওই মুখপাত্র বলেন, “অনিল অম্বানীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি সম্পর্কে রায় দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ক্যাপিটাল লিমিটেডের কাজকর্মের সম্পর্ক নেই।”