একদিকে চলছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান। অন্যদিকে সেই অবস্থান থেকেই পালা করে বুথে আসছেন মহিলারা। শনিবার সকাল থেকেই দিল্লীর শাহিনবাগের চিত্রটা এমনই । ভোটের জন্য শাহিনবাগের বুথে বুথে পড়েছে লম্বা লাইনও।
দিল্লীর শাহিনবাগ পড়ে ওখলা বিধানসভার মধ্যে। যেখানকার অধিকাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু। গত দু’মাসে শাহিনবাগ হয়ে উঠেছে দিল্লীর রাজনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয়। ঘটনার ঘনঘটায় বারবার শিরোনামে এসেছে। এদিন ওখলা গভর্মেন্ট স্কুলে ভোট দিতে আসা এক মহিলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘আমি ভোট দিচ্ছি সংবিধান বাঁচাতে। এটাই এখন কর্তব্য।’
দিল্লীর ভোটে তীব্র হয়েছে মেরুকরণের হাওয়া। একদিকে শাসকদল আম আদমি পার্টির ভরসা যেমন বিজেপি বিরোধী সাধারণ নাগরিক আন্দোলন, তখন পাল্টা গেরুয়া শিবির অস্ত্র করেছে তীব্র মেরুকরণ আর উগ্র জাতীয়তাবোধকেই।
কেন্দ্র শাসিত দিল্লীর মোট আসন ৭০টি। গতবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল তথা আপের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোনও দলই। কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস, বিজেপি। একাই ৬৭টি আসন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন কেজরি। কিন্তু এবার?
গত ২০ বছরে দিল্লীতে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি বিজেপি। তাই মরিয়া কেন্দ্র। অমিত শাহ কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘এত জোরে বোতাম টিপুন। যাতে শাহিনবাগ বিদ্যুতের আঘাত পায়।’ আপ আবার স্কুল, সড়ক, জল, বিদ্যুৎ সহ একাধিক উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোটে নেমেছে। শাহিনবাগের একটি স্কুলের বুথে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা বলে দিয়েছেন, ‘শাহিনবাগে স্থানীয় কোনও সসম্যা নেই। জাতীয় সমস্যার দিকে তাকিয়েই আমরা ভোট দিতে এসেছি।’ অর্থাৎ দিল্লী সহ শাহিনবাগে ভোটে সিএএ যে একটা বড় বিষয় তা বুঝতে কারও বাকি নেই।
শাহিনবাগের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা রয়েছে সেখানে। শাহিনবাগে হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। এখানে আপ প্রার্থী আমানাতুল্লা খান। বিজেপির হয়ে লড়ছেন ব্রক্ষ্ম সিং বিদুরী। কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছেন পারভেজ হাসমি।