প্রস্তুত ছিলেন শাসকদলের বিধায়করা। রাজ্যপাল যদি বাজেট ভাষণে সরকারের সম্বন্ধে কোনও নেতিবাচক কোনও মন্তব্য করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই আসনে বসে তাঁর প্রতিবাদ করবেন বিধায়করা।
সেই জন্য ‘নো এনআরসি, নো সিএএ’ স্লোগান লেখা ব্যান্ড ও সংবিধান হাতে প্রস্তুত ছিলেন বিধায়করা। কিন্তু দেখা গেল, সেসব কিছু-ই কাজে লাগল না। রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া ১৬ পাতার বক্তৃতা-ই পাঠ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
যা ছিলেন বক্তৃতায়, তা-ই পড়েন রাজ্যপাল। রাজ্যের ভাষণ-ই পাঠ করলেন ধনকর। স্থির ছিল, রাজ্য়পাল যদি ‘অন্যরকম’ কিছু বলেন, তাহলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ স্লোগান সবকিছুই হবে। কিন্তু সেটা যেন শালীনতার সীমা না ছড়ায়, তাই ওয়েলে নামতে বারণ করা হয়েছিল বিধায়কদের। যা হবে, সবটা তৃণমূল বিধায়করা আসনে বসেই করবেন বলেই স্থির ছিল। তেমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে।
কিন্তু দেখা গেল, স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে খাদ্যসাথী নিয়ে রাজ্যের তৈরি ভাষণ-ই পাঠ করলেন রাজ্যপাল ধনকর। কন্যাশ্রী, সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ সহ রাজ্যের প্রতি প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের তৈরি ভাষণ থেকে বক্তৃতায় দ্বিমত পোষণ করেননি রাজ্যপাল।