রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর ৯ নভেম্বরে শীর্ষ আদালতের ওই রায়ের পর, ঠিক দিল্লী নির্বাচনের তিন দিন আগে, বুধবার লোকসভায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য স্বাধীন ট্রাস্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সেই ট্রাস্টে তাঁকে না রাখায় এবার নিজের হতাশা প্রকাশ করলেন রাম জন্মভূমি ন্যাস সভাপতি মহান্ত নৃত্য গোপাল দাস৷
বিজেপি বৃহস্পতিবার অযোধ্যা দলের বিধায়কদের পাঠায়৷ এই দলে ছিলেন বেদ প্রকাশ গুপ্তা, মেয়র ঋষিকেষ উপাধ্যায়৷ নেতাদের মন্দিরে যেতে দেওয়া হয়নি৷ মহান্ত এর পরে জরুরি বৈঠক করেন৷ পরে মন্দির কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে ফোন পাওয়ায় ২টি পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়৷ মহান্ত বলেন, যারা মন্দির আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁদের ব্রাত্য রাখা হয়েছে৷ আবার কমল নারায়ণ দাস বলেন বৈষ্ণব সমাজ সম্পূর্ণ উপেক্ষিত৷ ট্রাস্টে তাঁদের জায়গা হয়নি৷ এটা তাঁরা মেনে নেবেন না৷ মহান্ত পরমহাস দাস ট্রাস্টের প্রধান হিসেবে আরএসএস মোহন ভাগবতের নাম প্রস্তাব করেছিলেন৷ বৃহস্পতিবার থেকে তিনি অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেছেন৷
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দির নিয়ে স্বাধীন ট্রাস্ট তৈরির কথা ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যায় এই ট্রাস্টে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। যাঁদের মধ্যে ৯ জন হবেন স্থায়ী এবং ৬ জনকে মনোনীত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার লোকসভাতেই জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মতো শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট তৈরি করা হবে। চেয়ারম্যান হবেন কে পরাসরণ৷ আহ্বায়ক সদস্য হবেন অযোধ্যার জেলাশাসক অনুজ কুমার ঝা। অন্য সাত স্থায়ী সদস্য হলেন, শঙ্করাচার্য বাসুদেবানন্দ মহারাজ, পরমানন্দজি মহারাজা হরিদ্বার, স্বামী গোবিন্দগিরিজি পুনে, বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র, ড. অনিল মিশ্র হোমিওপ্যাথিক অযোধ্যা, ড. কমলেশ্বর চাউপল পটনা এবং মহান্ত ধীনেন্দ্র দাস নির্মোহী আখড়া। মনোনীত সদস্যদের ঠিক করবে ট্রাস্টি বোর্ড।