এবার ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের বাড়বাড়ন্তের ওপর রাশ টানতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে ড্রাগ অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিস (অবজেক্টশনাবেল অ্যাডভারটাইসমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৪) আইনে সংশোধন চেয়ে প্রস্তাব পেশ করা হল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে ত্বকের রং উজ্জ্বল করা, যৌনক্ষমতা বর্ধনকারী, তোতলামি, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরন, অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ও অকাল বার্ধক্য, মস্তিষ্কর ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী কোনও বস্তুর বিজ্ঞাপন করলে পাঁচ বছরের জন্য জেল ও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, টিভির পর্দায় হঠাৎ করে বলিউডের কোনও সুপারস্টারকে আমরা দেখি একটা ক্রিম মেখে কয়েক সপ্তাহেই গায়ের রং ডার্কার থেকে হয়ে যাচ্ছে লাইট, আর তাতেই জীবনের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। গাড়ি, বাড়ি, টাকা সবই মিলছে স্রেফ ফর্সা হওয়ার ওই ক্রিম মেখেই। আর সেই দেখেই নানা ব্র্যান্ডের নানা ফেয়ারনেস ক্রিম দেদার বিকোচ্ছে দোকানে। কিন্তু সাধারণ কজন মানুষ ওই ক্রিম মেখে রাতারাতি ফর্সা হয়েছেন আর তার কারণে তারকাদের মতো জীবনে সাফল্য কজন পেয়েছেন তা বলা খুবই মুশকিল। বরং ফল না মেলায় মাঝে মাঝেই আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ক্রেতাদের।
আজ এই নির্দেশিকার পাশাপাশি ওই প্রস্তাবে আরও অনেকগুলি রোগ, অক্ষমতার কথাও বলা হয়েছে। ওই ৭৮ ধরনের রোগ, অক্ষমতা বা অবস্থার কথাও বিজ্ঞাপনে উল্লেখ না করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সংশোধনে। ওই আইন অনুযায়ী, প্রথমবার আইন অমান্য করলে ছয় মাসের জন্য কারাদণ্ড বা আর্থিক জরিমানা বা দুইই হতে পারে। পরবর্তীকালে একই ভুলের জন্য সাজার মেয়াদ বাড়বে। সংশোধনে এই শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথমবার অপরাধের জন্য দুই বছরের জেল ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। পরবর্তীকালে একই অপরাধের জন্য পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে।