আপনি আমি নয়, বাকিতে বিমানে চড়ে সেই টাকাই দেননি রামনাথ কোবিন্দ, বেঙ্কাইয়া নাইডু ও নরেন্দ্র মোদী। হাজার বা লক্ষ টাকা নয় এই তিন ব্যক্তির বকেয়া ৮২২ কোটি টাকা।
দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এঁরাও বাকিতে প্লেনে চড়েন। দেখে মনে হচ্ছে, এই বকেয়া টাকা দিয়ে দিলে সংস্থাই বেঁচে যেত।
এই হাল রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে। যা বিক্রি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। যখন ঋণভারে জর্জরিত সংস্থা প্রায় বন্ধের মুখে। তখন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে বকেয়া প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা। এই টাকা পেলে হয়তো সংস্থাকে বিক্রি করার জন্য এত তোড়জোড় করতে হত না। হ্যাঁ, এই বিরাট বকেয়া পেলে হয়তো কিছুটা হলেও এই সরকারি সংস্থা ভেসে থাকতে পারত বলেই মত সকলের।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে তথ্যের অধিকার জানার আইনে এক মামলা করেন। সেখানই জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত উড়ান সংস্থার বকেয়া এই বিপুল অঙ্কের কথা। তথ্য বলছে, অত্যন্ত বিখ্যাত ব্যক্তিদের চার্টার উড়ান পরিষেবা দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বকেয়া রয়েছে ৮২২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের টিকিট বাবদ বকেয়া রয়েছে ৫২৬ কোটি টাকা। যদিও এই হিসেব গত বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়াও বিভিন্ন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পরিষেবা দিয়ে ১০ কোটি ও বিদেশি অতিথিদের উড়ান পরিষেবা দিয়ে ১৩ কোটি টাকা সরকারের কাছ থেকে পায় এই উড়ান সংস্থা।
এর মধ্যে যে ৮২২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, তা মূলত দেশের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উড়ানের খরচ। তা সরকার এখনও দেয়নি। এর কারণেই এই সংস্থার উপর এতটা ঋণের বোঝা। যদিও গত ডিসেম্বর থেকেই সরকারি আধিকারিকদের বাকিতে টিকিট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থা।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা যে সব সংস্থার কাছ থেকে টাকা পায় সেগুলি সবই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে, সিবিআই, ইডি, আইবি, আয়কর বিভাগ, সিআরপিএফ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ভারতীয় ডাক বিভাগের মতো সংগঠন। এই সরকারি সংস্থাগুলিকে বারংবার বলেও বকেয়া উদ্ধার করা যায়নি।