মঙ্গলবারের পর বুধবারেও কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকেও শাহিনবাগ-জামিয়ায় গুলি চালানোর ঘটনায় বিজেপি নেতাদের দিকে সরাসরি আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘একদল গুন্ডা বলছে গোলি চালা দো। তাঁদের আগে বিজেপি নেতারাও বলছেন, গুলি চালাও।’ তাঁর অভিযোগের তির যে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দিকে তা বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয়, এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনি তো যোগী নয়, আসলে ভোগী। উনি ভোগ করুন।’
তবে এদিনও কলকাতার পার্ক সার্কাসের মহিলা-শিশুদের আন্দোলনকে হুমকি দিয়ে বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালের মত এদিনও তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মেয়েরা হাতে শুধু কাঁচের চুড়ি বসে আছে, এটা ভাববেন না। ওঁরা যেমন রান্না করতেও জানে, তেমনই বিপদে পড়লে হাতে হাতা-খুন্তি ধরতেও জানে।’
এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে উড়ে এসে জুড়ে বসার অভিযোগও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আপনাদের যেতে হবে, কারণ মানুষ তাড়াবে।’ সেইসঙ্গে তিনি স্পষ্টতই দাবি করেন, জামিয়ায় ও শাহিনবাগের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা শান্তিপূর্ণ মানুষকে সন্ত্রস্ত করানোর জন্যই ঘটানো হচ্ছে। এদিন কৃষ্ণনগরেও কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট নিয়ে এদিন সুর সপ্তমে চড়িয়েছেন মমতা। বলেন, ‘কর নিয়ে বাজেটে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। দেশের সবকিছু বেচে দিচ্ছে ওরা। বিএসএনএল, এলআইসি, এয়ার ইন্ডিয়া কিছুই আর থাকবে না।’