অবশেষে রাজ্যপালের হেলিকপ্টার বিতর্কে ইতি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে হেলিকপ্টার দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাল রাজ্য সরকার। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীতে তাঁর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার কথা। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার দেওয়া হবে তাঁকে।
মাসকয়েক আগে মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, জেলাসফরের নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলেও সেই চিঠির উত্তর দেয়নি নবান্ন। বাধ্য হয়ে হেলিকপ্টার না পেয়ে সড়কপথেই মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাসফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তার জন্য একাধিকবার ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে এবার একেবারেই অন্যরকম ছবি। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। ওইদিন শান্তিনিকেতনে যাওয়ার জন্য রাজভবনের তরফে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মিলেছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার পাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য প্রশাসনকে না জানিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে শিলিগুড়িতে বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল। ওই বৈঠকে যোগ দেননি জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তার জেরেই রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর জেলাসফরে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার চেয়েও পাননি রাজ্যপাল। একের পর এক ঘটনায় আরও প্রকট হয়েছে দু’পক্ষের মনোমালিন্য। শিক্ষাক্ষেত্রেও রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার। কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রছাত্রীদের বাধার মুখে পড়েছেন রাজ্যপাল। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন জগদীপ ধনকর। তবে যদিও সাধারণতন্ত্র দিবস থেকে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের মোড় ঘোরে। রাজভবনে চা চক্রের আমন্ত্রণ রক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে রবিবার এবং সোমবার পরপর দু’দিন বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সম্পর্কের শীতলতা কি তবে কাটছে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের অলিন্দে।