শনিবার মোদী সরকারের বাজেটে দেখা গিয়েছে আবারও ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছেন সেই আমআদমিরাই। কারণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে যতটা না ছাড় দিয়েছেন তার চেয়ে বেশি সুবিধা দিয়েছেন দেশের উচ্চবিত্তদেরই। যে কর কাঠামো তিনি ঘোষণা করেছেন তাতে মূলত কাঠামোকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাজেটে আয়করের নতুন কাঠামো ও হার ঘোষণা করেছেন তিনি। আর তারপর থেকেই নতুন না পুরনো, আয়করের কোন কাঠামোটা সুবিধেজনক, তা নিয়ে মানুষের ধন্দ আর কাটছে না। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে বলেছেন, নতুন কাঠামো একদম সোজা-সরল। কোনও বিশেষজ্ঞের কাছে এর জন্য ছুটে যেতে হবে না। কিন্তু অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, কোন কাঠামো বেছে নেওয়া ভাল, তা বুঝতেই কর-বিশেষজ্ঞদের দোরে যাওয়ার কথা ভাবতে হচ্ছে সাধারণ চাকুরেদের।
এ তো গেল বাজেট নিয়ে মানুষের প্রথম চিন্তার দিক। আরও বড় যে দিকটি, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উদ্বেগজনক হার, সেখানে কি কোনও বদল ঘটাতে পারবে এই বাজেট? দুটি ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞদের যা অভিমত, তা খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয়। দেশের অর্থনীতি চাপে রাখবে মোদী সরকারকে, ভোগাবে মানুষকে। ট্যাক্স কনসালট্যান্সির সংস্থা অশোক মাহেশ্বরী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পার্টনার অমিত মাহেশ্বরীর মত, প্রস্তাবিত নতুন ব্যবস্থায় কর-হার যেভাবে কমানো হয়েছে, তা থেকে করদাতারা শেষ পর্যন্ত খুব একটা লাভবান হবেন না। বরং এর ফলে সঞ্চয়ে ঝোঁক কমতে পারে মানুষের। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিজ ইনভেস্টর সার্ভিস মনে করছে, এই বাজেটে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির শ্লথগতিই বেরিয়ে এসেছে, যা কাটতে সময় লাগবে। মোদী যেমনটি ভাবছেন, তার চেয়ে বেশিই সময় লাগতে পারে।