নোটবন্দী এবং কেন্দ্রের জিএসটি নীতির কারণেই ভারতের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ছে। এমন মন্তব্য করে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।
ভারতে যে বৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে, তা অবশ্য সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। শেষ বার প্রকাশিত ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। বেশ কিছু দিন ধরেই তা লাগাতার নিম্নমুখী। চাহিদায় ভাঁটা । খরা লগ্নীতে। নতুন কাজের সুযোগ সে ভাবে তৈরি হওয়া তো দূর, বরং শুধু গাড়ি শিল্পেই কাজ খুইয়েছেন কয়েক লক্ষ কর্মী। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে, গাড়ি থেকে বিস্কুট – বিক্রি তলানিতে বহু পণ্যেরই। এমনকি যে উৎসবের মরসুমে নিজেদের সারা বছরের বিক্রিবাটার প্রায় ৭০% সেরে ফেলে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্য সংস্থা, সেই ‘সেরা সময়েও’ চাহিদা চাঙ্গা হওয়ার তেমন লক্ষণ নেই। বেকারত্বের কামড় বাড়ছে।
তুলনায় অনেক কম বেতনের চাকরি পেতেও মরিয়া হয়ে আবেদন করছেন এমবিএ, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ার, মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও অর্থনীতির হাল যে সুবিধার নয়, খোলাখুলি ভাবে যেন তা স্বীকার করতে চাইছে না কেন্দ্র।
জর্জিভার বক্তব্য, নোটবন্দীর কারণে দেশের নগদের আকাল তৈরি হয়েছে। যেকারণে থমকে গিয়েছে অনেক শিল্প যেগুলি মূলক নগদ অর্থের ওপর নির্ভর করে।
শনিবারের বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন শিল্পপতিরা। বিনিয়োগের জন্য একটি ভাল পরিবেশের আশায় ছিলেন তারা। সবার আশাতেই জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।