সাম্প্রতিক সময়ে দেশ যত রাজ্যভিত্তিক নির্বাচন দেখেছে, তার মধ্যে দিল্লী বিধানসভা ভোটেই সবথেকে আগ্রাসী প্রচার করছে বিজেপি। একা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়তে গেরুয়া শিবির নিজেদের ৪০ জন তারকা প্রচারককে মাঠে নামিয়েছে। যারা একের পর এক বিষাক্ত প্রচারের পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের ‘মুখের ভাষা’ বাকি দলগুলির জন্য হাতিয়ার হয়ে উঠছে। কেউ গুলি চালানোর কথা বলছেন, কেউ বা শাহিনবাগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলছেন। কেউ তো আবার শাহিনবাগকে জপের মালা বানিয়ে নিয়েছেন।
ঠিক এই পরস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ১৭৫ জন সমাজকর্মী এবং মহিলাদের একটি সংগঠন। তারা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচারকদের মুখ থেকে ‘ভয়াবহ’ সব বাণী বের হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা ‘প্রচারের বার্তা হিসেবে ধর্ষণের ভয়’কে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি নেতা পারভেজ বর্মা বলেছিলেন, শাহিনবাগে যারা বসে রয়েছেন তারা আপনাদের ঘরে ঢুকে মা-বোনেদের ধর্ষণ করবে। এই মন্তব্যের পর তাঁকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নির্বাচনী প্রচারে ব্যানও করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এই খোলা চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতাদের মন্তব্য কীভাবে হিংসার উস্কানি দিচ্ছে এবং ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। যারা সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-র বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তাদের মধ্যেও ভীতি সঞ্চার হয়েছে বলে দাবি করেছেন মহিলারা। যারা এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবকী জৈন, সমাজকর্মী লায়লা ত্যাবজি, প্রাক্তন ভারতীয় অ্যাম্বাসেডার মধু ভাদুরি-সহ আরও অনেকে।