বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশে চলছে মন্দার বাজার। এরই মধ্যে শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছে মোদী সরকার। এই মুহূর্তে দেশের আর্থিক বিকাশের ঘাটতিতে যে রেলের আয় কমেছে, নির্মলা সীতারমনের পেশ করা বাজেটে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷
২০১৯-‘২০ অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের আয় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। যা তার আগের বছরে ছিল ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। রেলের আধিকারিকরা স্পষ্টভাবে জানান, দেশের আর্থিক বিকাশ না হলে পণ্য পরিবহণ কমে যায়। বিকাশের ঘাটতিতে স্টিল, সিমেন্ট, কয়লা, সার উৎপাদন কমে এসেছে। ফলে পরিবহণের চাহিদা কমে এসেছে বলে তাঁরা জানান।
রেল বিশেষজ্ঞদের কথায়, দেশ যেভাবে নিউক্লিয়ার ও সোলার পাওয়ারের দিকে ঝুঁকছে, তাতে যে সব কোল ফায়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কমে যাবে তা নিশ্চিত। আগামী ৫ বছরে এনটিপিসি ১৫ থেকে ২০টি পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে রেলের পণ্য পরিবহণ থেকে আয় তলানিতে এসে ঠেকবে নিশ্চিত।
কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের যে আয় তার ৬০ শতাংশ আসে কয়লা পরিবহণ থেকে। কোনও কারণে কয়লা নির্ভর প্ল্যান্ট আগাম দিতে হলে তা খনি অঞ্চলের কাছে হবে। ফলে দীর্ঘ পরিবহণের পর্যায়ে যাবে না। এতে সরাসরি আয় ব্যাহত হবে রেলের। আয় নিশ্চিত কমবে জেনেও বাজেটে আগামী অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা।
রেলের ১০০ টাকা আয় করতে চলতি অর্থবর্ষে ব্যয় হয়েছে ৯৭.৪ টাকা। গত বছর যা ছিল ৯৫ টাকা। আগামী বছর লক্ষ্যমাত্রা ৯৬.২ টাকা ধরা হয়েছে। চলতি বছরে ১০০ টাকা আয়ে লাভের মুখে ছিল প্রায় ৩ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৫ টাকা। ফলে আয় পর্যায়ক্রমে যে কমতে কমতে চলেছে তা স্পষ্ট বলে বিশেষজ্ঞদের মত। আয় বাড়াতে রেল বাজেটে যে কর্মপদ্ধতি নিয়েছে তা মোটেই নতুন নয় বলে মনে করছেন রেল কর্তাদের একাংশ।