এদিন লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস সাংসদরা হাতে সিএএ-এনআরসি বিরোধী পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। মূহুর্মূহু স্লোগান উঠতে থাকে – ‘এনআরসি সে আজাদি, সিএএ সে আজাদি।’ এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তরুণ গগৈ। জামিয়া মিলিয়া, শাহিনবাগে পরপর হামলার ঘটনা নিয়েও এদিন সংসদে সরব হন তাঁরা। যার জেরে অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর আর লোকসভার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। দিনের প্রথমার্ধ্ব অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
এনআরসি-সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দিল্লীর রাজপথ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। কেন্দ্রের বিরোধিতায় এখন সর্বত্রই আজাদির স্বর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তবে নজিরবিহীনভাবে এবার আন্দোলনের সেই ধারালো স্লোগান ঢুকে পড়ল সংসদের অভ্যন্তরে। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস সাংসদরাই এবার তুললেন ‘আজাদি’ স্লোগান। সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভা কক্ষ মুখর হয়ে উঠল ‘এনআরসি সে আজাদি, সিএএ সে আজাদি’ স্লোগানে। জামিয়া, শাহিনবাগে ঘনঘন গুলিচালনার ঘটনা নিয়েও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তাঁরা। যার জেরে প্রথমার্ধ্বে লোকসভার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়।
তবে কংগ্রেসের প্রতিবাদের তালিকা আরও লম্বা। এক ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্বে আজ ছিল অর্থ বিষয়ক আলোচনা। তাতে গরহাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু তিনি একটি প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেননি। যার ফলে সংসদের ভেতরে কেন্দ্র বিরোধী স্লোগান ততই তীব্র হয়েছে।