দ্বিতীয় বারের জন্য এদিন সংসদে পেশ হল ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট৷ আজ সকালে বাজেট পেশ করলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কি থাকবে এই বাজেটে তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রবল আগ্রহ ছিল দেশবাসীর। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও আসন্ন বাজেট নিয়ে আমজনতার মধ্যে তৈরি হয়েছিল বিপুল প্রত্যাশা৷ সেই প্রত্যাশা কি আদৌ মেটাতে পারলেন নির্মলা?
এদিন বাজেট শুরু আগে আয়-ব্যায়ের হিসাব দেন নির্মলা৷ বলেন, দেশের আয় বেড়েছে৷ ৪০ কোটি করদাতার মধ্যে ৬০ লক্ষ করদাতা নতুন তালিকায় যুক্ত হয়েছেন৷ দু’বছরে নতুন করদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখে৷ ৮০-র দশকে বৃদ্ধির তুলনায় বর্তমানে বৃদ্ধির হার বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি৷ গরিবের হাতে টাকা বেশি মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্র৷ ভর্তুকিতে দুর্নীতি কমেছে। তারপর একরাশ প্রত্যাশা নিয়ে বাজেট ঝুলি হাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে অর্থবাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ গতবারের মতো এবারও অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট নথি লাল কাপড়ে মোড়া খাতা খোলেন৷ তারপর একের পর এক বার্তা দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা।
এরপর কৃষি ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানান নির্মলা৷ বলেন, কৃষকদের উন্নয়নে একাধিক যোজনা এনেছে সরকার৷ আনা হয়েছে ১৬টি নতুন পরিকল্পনাও৷ কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে৷ ১৫ লক্ষ কৃষককে সৌরশক্তির প্রযুক্তি দেওয়া হচ্ছে৷ কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ তবে, কৃষিকাজে ব্যবহৃত সারের দাম আদৌ কি কমছে? সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নির্মলা৷ জানিয়েছেন, সরকার চাইছে কৃষকরা যাতে বেশি মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করেন৷
এদিন কৃষি, সেচ ব্যবস্থা নিয়েও সওয়াল করেন মন্ত্রী৷ ৬.১১ কেটি কৃষককে বিমার আওতায় আনা হয়েছে বলেও দাবি নির্মলার৷ ১০০ খরাপ্রবণ জেলাকে চিহ্নিত করে অর্থ সহযোগিতার ঘোষণাও করা হয়েছে বাজেটে৷ ২০ লক্ষ কৃষককে সৌরশক্তির চালিত পাম্প মেশিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ কৃষকরা যাতে ফসলের মূল্য যথাযথ ভাবে পান, তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ জানা গেছে, দুধ, খামার, মৎস্য চাষের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেবে কেন্দ্র৷ জানান, কেন্দ্র যুবকদের দিয়ে মৎস্য চাষে উৎসাহ দেবে৷ তাতে কমবে বেকারত্ব৷ এর জন্য বিশেষ যোজনা ‘সাগরমিত্র’ আনা হচ্ছে৷ তাতে যেমন বেকারত্ব কমবে, তেমনই বাড়বে মাছের উৎপাদন৷