গতকাল দুপুরে আকাশ কালো করে কলকাতায় বৃষ্টি এলেও পুরো মাঠ ঢাকা সম্ভব হয়নি ইডেনের। পিচের সংলগ্ন এলাকা আচ্ছাদনে ঢাকা হলেও আউটফিল্ড ছিল খোলা আকাশের নীচে। ভারী বৃষ্টিতে জমে থাকা জল শুকোনো সম্ভব হয়নি পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে। টানা তিন ঘণ্টা দু’টি সুপার সপার ব্যবহার করে মাঠ শুকোনোর চেষ্টা করা হয় চতুর্থ দিন। কিন্তু সাড়ে তিনটের সময় আম্পায়ারেরা মাঠ পরীক্ষা করে ঘোষণা করেন, এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ পরিচালনা করা আর সম্ভব নয়। যার ফলে দিল্লীর বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হল বাংলাকে।
যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, ইডেনে পুরো মাঠ ঢাকার মতো পর্যাপ্ত আচ্ছাদন থাকলেও কেন মাঠ ঢাকা হল না? সিএবি সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরো মাঠ ঢাকার জন্য ২১টি আচ্ছাদনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য প্রায় ৫০ জন মাঠকর্মীর প্রয়োজন। ইডেনে উপস্থিত ছিলেন ২০জন মাঠকর্মী। তাঁদের পক্ষে ২১টি আচ্ছাদন দিয়ে মাঠ ঢাকার পর্যাপ্ত সময় ছিল না।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলার। বৃষ্টি ও খারাপ আলোর জন্য তিন পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল অরুণ লালের দলকে। গুজরাতের বিরুদ্ধেও, বৃষ্টি ও খারাপ আলোর জন্য ম্যাচ বিঘ্নিত হয়। তিন পয়েন্ট পেয়ে শেষ করে বাংলা। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল দিল্লী ম্যাচের আগেও। তবুও কেন পর্যাপ্ত মাঠকর্মী রাখা গেল না? যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বাংলা শিবির। শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিল তাঁরা। তিন পয়েন্ট পেলে কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তায় এক ধাপ এগিয়ে যেতেন মনোজ তিওয়ারিরা। বাংলার ৩১৮ রানের জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে দিল্লীর রান ছিল ২৪২। বৃষ্টি নামার আগে ৭৬ রানে পিছিয়ে ছিল বিপক্ষ। এ দিন সাত ওভার খেলা হলেও একটিও উইকেট ফেলা সম্ভব হয়নি। কারণ, কম আলোর জন্য ছয় ওভার করাতে হয়েছে স্পিনারদের দিয়ে। বর্তমানে ইডেনের পিচ পেস সহায়ক। তাই শাহবাজ আহমেদ, মনোজ তিওয়ারিরা কোনও ফায়দাই তুলতে পারেননি পিচ থেকে।