বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ জীবনের চলার পথে যে নতুন দিশা দেখাতে পারে তার নজির রাখলেন শিলিগুড়ির ‘কন্যাশ্রী’ অঞ্জলি দাস। এককালীন ২৫ হাজার টাকায় স্টেশনারি এবং প্রসাধনীর দোকান খুলে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সে। তার ওই কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছে প্রশাসন থেকে শুরু করে ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা।
বিশ্বের দরবারে আগেই প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজ্য সরকারের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প। আরও একবার ইউনিসেফের প্রশংসা কুড়োলো মমতার প্রকল্প। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ, জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিকরা কন্যাশ্রী ছাত্রীর দোকান ঘুরে দেখে গেলেন এবং ছাত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গতকাল উত্তর-পূর্ব ভারতের ইউনিসেফের সুপারভাইজার প্রিয়া নাগার, ইউনিসেফের সাধারণ সদস্য পারমিতা উকিল, রাজগঞ্জের বিডিও নরবু শেরপা, কন্যাশ্রী বিভাগের আধিকারিক গোপাল বণিক, সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় দাস এবং নোডাল শিক্ষক অজিত মণ্ডল অঞ্জলির দোকান দেখতে যান।
অঞ্জলি বলেন, “রাজ্য সরকার এত টাকা দিচ্ছে, আমাদের মতো মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে। আমি আগামিদিনের কন্যাশ্রীদের বলতে চাই, কন্যাশ্রীর টাকা বাজে খরচ না করে নিজের পরিবারের উপকারে লাগে এমন কাজ করতে।”
শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন জমিদারপাড়ার বাসিন্দা অঞ্জলি। বাবা সন্তোষ দাস পেশায় কৃষক। টানাটানির সংসারে এখন অঞ্জলিও পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করছে তার প্রসাধন সামগ্রীর দোকান দিয়ে।
২০১৭ সালে সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুল থেকে কলা বিভাগে পাস করে শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলেজে কলা বিভাগে ভর্তি হন অঞ্জলি। কলেজে ভরতির পর কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা হাতে পায় সে। পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কন্যাশ্রীর সেই টাকায় নিজেই শুরু করে প্রসাধনীর ব্যবসা। এখন অঞ্জলির দোকান চলছে রমরমিয়ে।