করোনা ভাইরাস ঠেকাতে শুরু থেকেই বদ্ধপরিকর রাজ্য। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দমদম বিমানবন্দরে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তিনটি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে। এদিকে আজ সকালে স্বাস্থ্যভবনে যায় তিন জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বৈঠক করেন রাজ্যের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। এরপর যান বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। করোনা মোকাবিলায় এই হাসপাতালকেই নোডাল হাসপাতাল হিসেবে বেছে নিয়েছে রাজ্য। হাসপাতাল ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানান, সব ঠিক আছে।
এদিন চিন-ফেরত ২ ভারতীয় নাগরিককে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে বলে কলকাতা পুরসভাকে জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য ভবন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘ওই দু’জনের মধ্যে নোভেল করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ নেই। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে।’ চিনের ভাইরাস নিয়ে বাংলার মানুষ যাতে আতঙ্কিত না-হন, সেই জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
তার দু’টি নম্বর হল ০৩৩-২৩৪১২৬০০ এবং ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২। করোনা নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করলেই সাহায্য মিলবে। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, এ রাজ্যের অনেকে কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য চিনে আছেন। তাঁদের কথা ভেবে আত্মীয়েরা আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন। তা যাতে না হয়, সেই জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘হেল্পলাইন নম্বরে চিকিৎসকেরাও থাকবেন। ওই রোগ সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলদিয়া বন্দরের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এ দিন বৈঠক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিদেশি জাহাজ ও বন্দরের কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ দল গড়া হয়েছে। বাংলার সার্বিক পরিস্থিতি যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের বৈঠক হয়েছে। এ রাজ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু হয়েছে জেনে খোদ কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।