নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে৷ এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জবাব চাইল দেশের শীর্ষ আদালত৷ আইনজীবী পারওয়েইজ আরিফ টিটু আদালতে আবেদন করেন৷ তিনি সুপ্রিম কোর্টে বলেন, যাতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চান তিনি৷
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছিলেন৷ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ গত মাসে উত্তরপ্রদেশ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে৷ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে প্রতিশোধ নেব৷ তিনি আরও বলেন, যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করা হবে৷ এভাবে সরকরি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ করা হবে৷
তিনি আরও বলেন, ৯২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তারা সহজে জামিন পাবে না৷ শর্ত সাপেক্ষে তারা জামিন পেতে পারে৷ যে পরিণাণ সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিলে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হতে পারে৷
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই নিয়ে পাশাপাশি আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে পুলিশি কার্যকলাপ প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে প্রশ্ন করেছে হাইকোর্ট।
উত্তরপ্রদেশে গত কয়েক মাসে একের পর এক জায়গায় দেখা গিয়েছে ব্যাপক হিংসার ছবি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে রীতিমতো তোলপাড় হয় যোগীরাজ্য। এমন এক পরিস্থিতিতে যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশ দেন যে, যারা হিংসায় জড়িত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই সম্পত্তি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ তোলা হবে।