বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে ৩১ জানুয়ারি-১ ফেব্রুয়ারি দুদিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ন’টি কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস (ইউএফবিইউ)। আজ সেই দেশজোড়া ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা। এদিন সকাল থেকেই এটিএমের সামনে দেখা গিয়েছে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। তবে জেলায় জেলায় অনেক এটিএমে টাকা নেই বলে অভিযোগ। ফলে এটিএমের বাইরে অপেক্ষারত গ্রাহকদের হয়রানি বেড়েছে বই কমেনি। সেই সঙ্গে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও প্রায় অধিকাংশ ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ রয়েছে। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা।
গত কাল বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ওই সংগঠনের নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়। ফলে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা তাঁদের দাবিতে অনড় থেকে ধর্মঘটের পথে হাঁটার রাস্তাই বেছে নেন। আজ ও আগামীকাল, পর পর দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পরের দিন পড়ছে রবিবার। ফলে সব মিলিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে টানা তিন দিন। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে চলেছেন গ্রাহকেরা। এই ধর্মঘটের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ছাড়া বেসরকারি এবং বিদেশি ব্যাঙ্কও রয়েছে।
এর আগে ব্যাঙ্ক কর্মচারী-অফিসারদের সংগঠনগুলি জানিয়েছিল, কর্মীদের বেতন ২০ শতাংশ বাড়াতে হবে। কিন্তু ১৫ শতাংশের বেশি বেতন বৃদ্ধিতে রাজি ছিল না আইবিএ। শুধু বেতন বৃদ্ধিই নয়, পেনশন, অফিসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ-সহ ১২ দফা দাবিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও বিষয়েই নিজেদের দাবি না মেটায় ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নগুলি ধর্মঘটের ডাক দেয়। ঘটনাচক্রে আজই আর্থিক সমীক্ষা পেশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর আগামীকাল, শনিবার সাধারণ বাজেট পড়বেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। ফলে এর প্রভাব ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।