শুক্রবার সংসদে পেশ হল ২০২০-২১ সালের আর্থিক সমীক্ষা। সংসদের বাজেট অধিবেশনে সমীক্ষা পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানে ক্রমশই নামতে থাকা বৃদ্ধি আগামী অর্থবর্ষে ৬-৬.৫ শতাংশে ফিরবে বলে আশা করা হয়েছে। যদিও জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়লেই মন্দার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্টই সংশয় রয়েছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
তবে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেই জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদী জমানাতে বৃদ্ধির হার ইতিমধ্যেই নেমে এসেছে ৪.৫ শতাংশে। এমনকী ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ছুঁতেও যে সমস্যা হবে, অতীতে তা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও।
কী ভাবে আগামী অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হবে, তার একটি রূপরেখাও দেওয়া হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ‘সম্পদ সৃষ্টি’র উপর। আর তার জন্য নতুন ১০টি উপায়ের কথাও বলা হয়েছে সমীক্ষায়। অর্থমন্ত্রী সংসদে রিপোর্ট পেশের পর এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্পদ সৃষ্টিতে যে সবার উপকার হয়েছে, তা জানা গেছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দার জেরে কেন্দ্রীয় সরকারকে গত বছরে তার সংস্কারের পরিকল্পনায় কাটছাঁট করতে বাধ্য করেছে। আগামী দিনেও একই পথে থাকতে হবে কেন্দ্রকে। সাধারণ মানুষের কাঁধে করের বোঝা কিছুটা কমাতে গিয়েই সংস্কারের পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করার প্রয়াসগুলিকে আপাতত আরও কিছু দিন বন্ধ রাখতে হবে। নির্মাণ শিল্পের শ্রমিকদের দিতে হবে কিছু বাড়তি সুযোগসুবিধা।
তার ফলে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে এ বার আমজনতার আয়করে কিছুটা ছাড় দিতে হবে, ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য কমাতে হবে কর্পোরেট করের হার এবং আরও বাড়াতে হবে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ, জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
দেশে অর্থনৈতিক মন্দার কী কী কারণ, কী ভাবে ব্যবসা আরও সহজে শুরু করা ও তা চালিয়ে যাওয়া যাবে, সে ব্যাপারেও আলোকপাত করা হয়েছে এ বারের আর্থিক সমীক্ষায়।