২০১৭ সালের আগস্টে গোরখপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৬০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তাঁকে শেষমেশ ক্লিনচিট দিয়েছিল তদন্তকারী কমিটি। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট খারিজ করে ‘নির্দোষ’ চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। সেসময়ই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। এবার ফের গ্রেফতার করা হল চিকিৎসক কাফিল খানকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সভায় ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশে পুলিশের একটি বিশেষ দল।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী একটি সভায় আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। পুলিশের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। কাফিল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার দু’দিন পরে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বড় আকারে সিএএ-বিরোধী মিছিল হয়। সেই সময় অভিযোগ ওঠে যে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে প্রতিবাদীদের উপর লাঠিচার্জ ও মারধর করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পুলিশ সেখানে প্রবেশ করলেও পরে হস্টেলের ভিতরে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তবে কেন এতদিন পরে কাফিল খানকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে সিএএ বিরোধী একটি প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কাফিল খানের। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগের মতোই মুম্বইতেও মহিলা প্রতিবাদকারীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। সেখানে কাফিল খানের উপস্থিতি আটকাতেই কি এই পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ যোগী সরকারের।