সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে ভারতীয় ক্রিকেটে কার্তিকের আবির্ভাব। ইনি উত্তরপ্রদেশের পেসার কার্তিক ত্যাগী। মঙ্গলবার পোচেস্ট্রুমে তাঁর দাপটে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের শেষ চারে ভারত। পাঁচ বার যুব বিশ্বকাপ জিতে অনূর্ধ্ব ১৯ টিম ইন্ডিয়ার যে ‘হাই ফাইভ’-এর স্বপ্ন, তার দিকে ছুটছে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন প্রজন্ম। ম্যাচের নায়ক কার্তিকই। তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স ৮-০-২৪-৪। সেমিফাইনালে ভারত খেলবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে।
জ্বলে উঠলেন রাজস্থানের বাঁ হাতি পেসার আকাশ সিংও। ৮.৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার স্যাম ফ্যানিং (৭৫) একা লড়ছিলেন। তাঁকে ফেরান আকাশ। সব মিলিয়ে ৪৩.৩ ওভারে ১৫৯ রানে ভেঙে পড়ে ক্যাঙারু বাহিনী। বিশ্বকাপে ভারতের সফল স্পিনার রবি বিশনোই (১-২৬) ভালো বোলিং করেছেন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেস্ট্রুমে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে শুরুতে যশস্বী জয়সোয়াল (৬২) এবং পরে অথর্ব অাঙ্কোলেকর (৫৫) ছাড়া বড় রান আর কেউ পাননি। ইনিংসের বিরতিতে মনে হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে হয়তো এই রান তাড়া করা বিশেষ কঠিন হবে না। কিন্তু প্রথম ওভারেই দু’উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে নড়িয়ে দেন কার্তিক। প্রথম স্পেলেই তুলে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। পরে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেটের জুটি। বাকি কাজটা করে দেন আকাশ। এই বাঁ-হাতি পেসারের ইয়র্কারে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটসম্যানের স্টাম্প ছিটকে যাওয়া মাত্র বিশ্বকাপ জয়ের আরও এক ধাপ কাছে চলে আসে ভারত। চার উইকেট নেওয়ায় ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন কার্তিক।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের মাঝে হঠাৎ করে এক অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়। রান নিতে গিয়ে আকাশকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারেন অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যাটসম্যান। যে ঘটনার ভিডিয়ো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার ভিডিয়ো টুইট করে ভারতীয় সমর্থকেরা দাবি তুলতে থাকেন, আইসিসি যেন শাস্তি দেয় সংশ্লিষ্ট অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানকে।