হিংসায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অপরাধে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মাকে বিজেপি-র তারকা প্রচারকের তালিকায় ব্যান করল নির্বাচন কমিশন৷ দিল্লী ভোটের প্রচারে দু জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, তাঁরা হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন৷
নির্বাচনী সভায় ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গুলি মারো শালোঁ কো…,’ স্লোগানের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে মঙ্গলবারই নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন৷ কমিশন জানিয়েছে, বিজেপি নেতার সভায় ওই স্লোগান নির্বাচনী নিয়ম লঙ্ঘন করেছে৷
অনুরাগ ঠাকুর ছাড়াও কমিশনের নোটিস যায় আরেক বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মার কাছেও৷ প্রবেশ শাহিনবাগ নিয়ে খোলাখুলি হুমকি দিয়েছেন, বিজেপি দিল্লীতে ক্ষমতায় এলে ১ ঘণ্টায় শাহিনবাগ সাফ করে দেবে৷ সরকারি জমিতে তৈরি হওয়া মসজিদগুলি সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷
সোমবার দিল্লীতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়া অভিযোগ ওঠে অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে৷ দিল্লীর রিঠালার সভায় অনুরাগ স্লোগান তুললেন, ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালোঁ কো৷’ যখনই অনুরাগ স্লোগান দিচ্ছেন, ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো…৷’ তখনই সভার জনতার থেকে পাল্টা চিত্কার আসছে, ‘গোলি মারো শালোঁ কো৷’ ওই জায়গাতেই পরে অনুরাগ ঠাকুর ও আরেক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সভায় যোগ দেন৷
প্রবেশ ভার্মা পশ্চিম দিল্লীর বিজেপি সাংসদ৷ খোলাখুলি হুমকি দিয়েছেন, দিল্লীতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে শাহিনবাগের বিক্ষোভ সাফ করে দিতে মাত্র ১ ঘণ্টা লাগবে৷ সরকারি জমিতে যত মসজিদ রয়েছে, সব এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি ওই বিজেপি নেতার৷
দিল্লী নির্বাচনের প্রচারে প্রবেশ বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি যদি বিজেপি ক্ষমতায় আস, ১ ঘণ্টার মধ্যে শাহিনবাগের আন্দোলন সাফ করে দেব৷ একটি লোককে দেখা যাবে না৷’ এখানেই থামেননি প্রবেশ৷ দিল্লীর বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘কয়েক লক্ষ মানুষ শাহিনবাগে জড়ো হয়েছেন৷ দিল্লীবাসীকে খুব ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ওরা কিন্তু বাড়িতে ঢুকে বাড়ির বোন, মেয়েদের ধর্ষণ করবে৷ এখনই মেরে ফেলুন৷ এটাই সময়৷ এরপর কিছু হলে, মোদীজি, অমিত শাহ কাল কিন্তু বাঁচাতে আসবেন না৷’