নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে টিএমসিপি ছাত্রযুব কর্মশালায় নিজের কলেজ জীবন এবং তখনকার রাজনীতি নিয়ে কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ জীবনের রাজনীতি এবং সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি মনে করালেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থীই হতে চাইত না। সকলের ভয় থাকত জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়ার।
নিজের ছাত্র রাজনীতির জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম তখন বোমা, বন্দুক নিয়ে তাড়া করেছিল সিপিএম। কোনওরকমে দোকানে ঢুকে পালিয়ে বেঁচেছিলাম। এত মার মেরেছিল আমাকে যে শরীরে কিছু ছিল না। নিয়মিত ব্যায়াম করে নিজেকে এখন চালু রাখি।’ এর পরেই তাঁর নিশানায় নিয়ে আসেন বিজেপি সরকারকে। বর্তমান যা পরিস্থিতি সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সিএএ বিরোধী আন্দোলেন নামার জন্য ছাত্র-যুবদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই আন্দোলন সরস্বতী পুজোর পর আরও বাড়বে। আগামী দিনে ছাত্রযুব নেতৃত্ব আরও সক্রিয় হবে। ভারতে ভাগাভাগির রাজনীতি শুরু হয়েছে তাকে আটকাতে হবে। সর্ব ধর্ম-জাতিকে নিয়ে আমাদের সকলকে চলতে হবে। ছাত্রযুবদের বলতে হবে, আমাদের মাটিতে কোনও ভেদাভেদ হবে না, চলবে না।’ এখান থেকে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, এ দেশে একটা রঙের ওপর ভিত্তি করে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না।
সিএএ নিয়ে কেন্দ্রকে আরও বিঁধে মমতা বলেন, ‘আমরা কেউ ক্রীতদাস নই, সকলে নাগরিক।’ তাঁর কথায়, বিজেপি ঠিক করে দেবে না কে পোহা খাবে কে খাবে না। এই বিষয়ে তিনি যে কৈলাস বিজয়বর্গীর মন্তব্য নিয়ে তোপ দেগেছেন তা স্পষ্ট। পাশাপাশি, এনপিআর, এনআরসি নিয়েও একইরকম সুর চড়িয়ে তিনি বিজেপিকে একহাত নেন নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে।