আই লিগের প্রথম ডিভিশনে এই মরসুমেই অভিষেক হয়েছে ট্রাউয়ের। প্রাক্-মরসুম প্রস্তুতির পরেই কোচের পদ থেকে দিমিত্রিসকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাউ কর্তারা। সেই জায়গায় কোচের পদে আসেন ডগলাস। কিন্তু প্রথম তিনটি ম্যাচে হারের ধাক্কায় তাঁকে সরিয়ে ফের ফিরিয়ে আনা হয় দিমিত্রিসকে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ট্রাউ। দিমিত্রিসের কোচিংয়ে শেষ ছ’টি ম্যাচের একটিতেও হারেনি মণিপুরের দলটি।
চারটি ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন অবিনাশ রুইদাস, অভিষেক দাসেরা। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ গড়াপেটার চাঞ্চল্যকর অভিযোগে কোচকেই বরখাস্ত করল ট্রাউ। সূত্রের খবর, কোচের সঙ্গে কয়েক জন ফুটবলারেরও নাকি ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন ট্রাউয়ের কর্তারা। যদিও কোন কোন ফুটবলার জড়িত রয়েছেন, তা নিয়ে এই মুহূর্তে মুখ খুলতে রাজি নন আই লিগের তৃতীয় স্থানে থাকা দলের কর্তারা। তবে গতকাল দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাউয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘দিমিত্রিসকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বরখাস্ত করার কারণ জানানো হবে।’
রবিবার ট্রাউয়ের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ফুলেন মিতেই এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ফুটবলারেরা অবশ্য কোচের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ‘আমাদের সিইও-র সঙ্গে কোচের সংঘাত লেগেই থাকত। এই কারণেই হয়তো কোচকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ তাঁরা যোগ করেন, ‘দিমিত্রিস দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমরা কোনও ম্যাচ হারিনি। আই লিগের খেতাবি দৌড়েও রয়েছি। এই অবস্থায় গড়াপেটা কেন করবেন কোচ?’ সিইওর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে দিমিত্রিস ফোনে বললেন, ‘ঈর্ষা থেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন সিইও।’