গোটা দেশজুড়েই সিএএ লাগু করতে মরিয়া বিজেপি। তবে রাজস্থান, বাংলা সহ চারটি রাজ্য তাদের বিধানসভায় সিএএ বিরোধী আইন পাশ করিয়েছে। এদিকে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে নয়া আইনকে ‘মানবতার’ প্রতীক বলেছেন অমিত শাহ। কিন্তু, এবার সিএএ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দল ছাড়লেন বিজেপিরই ৮০ জন মুসলিম নেতা। এই আইনকে ‘বিভেদের হাতিয়ার’ বলে দাবি করেছেন বিজেপি ত্যাগী সংখ্যালঘু নেতারা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে।
সিএএ-এর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে দলত্যাগী নেতারা বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। পদ্ম বাহিনী থেকে দলত্যাগী রাজিক কুরেশি ফারসিওয়ালা বলেছেন, ‘বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে বৃহস্পতিবারই ৮০ জন সংখ্যালঘু নেতার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদের উদ্দেশ্য নিয়ে সিএএ তৈরি করা হয়েছে। এই আইন আমরা কখনোই মানব না।’
রাজিক কুরেশি ফারসিওয়ালার দাবি, ‘সিএএ হওয়ার পর থেকেই আমাদের সমাজে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মানুষ আমাদের কটাক্ষ করছিল। এই বিভেদকামী আইন আমরা আর কতদিন মেনে নেব তা জানতে চাইছিল জনগণ।’ তাঁর সংযোজন, ‘নীপিড়িত সব শরনার্থীরই ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এতে ধর্ম দেখা উচিত নয়। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসবাদী তা দেগে উচিত নয়।’ নাড্ডাকে লেখা ইস্তফাপত্রে দলত্যাগী সেই ৮০ নেতা জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় সংবিধান অনুসারে দেশের সকল নাগরিকের সাম্য, স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। কিন্তু, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে সিএএ তৈরি করেছে। বিভেদের এই আইন সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী।’