অকল্যান্ডে সহজ জয় পেল ভারত। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাটের মুখই খুলতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা। বর্ণহীন দেখাল গাপ্টিল, উইলিয়ামসনদের। সামি, বুমরাহ, জাদেজাদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে নুইয়ে পড়ল নিউজিল্যান্ড। ইডেন পার্কের ছোট মাঠে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩২ তুলেছিলেন ব্ল্যাকক্যাপসরা। সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭.৩ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছল ভারত। এদিনও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার এবং লোকেশ রাহুল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বোলারদের দাপটে সহজেই ২–০ করল ভারত।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ১৩২ রান। ভারতীয় বোলারদের দক্ষতাতেই এত কমে আটকে গিয়েছিল হোম টিম। শুক্রবারই এই মাঠে দু’শোর বেশি রান তুলেছিল কিউয়িরা। কিন্তু, এদিন টস জিতে ব্যাট করলেও তাদের ইনিংস কখনই গতি পেল না। রান তাড়া করতে নেমে ১৭.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারত (১৩৫-৩)।
ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারতের ইনিংস। টিম সাউদির ষষ্ঠ বলে স্লিপে রস টেলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা (ছয় বলে ৮)। সেই সাউদিই ফের আঘাত হানলেন। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ফেরালেন বিরাট কোহালিকে (১২ বলে ১১)। লেগস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। দুর্দান্ত ভাবে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার টিম সেইফার্ট। উইকেট পাওয়ার মতো বল ছিল না একেবারেই। কিন্তু কপাল মন্দ ছিল কোহালির। ৫.২ ওভারে ৩৯ রানে পড়েছিল ভারতের দ্বিতীয় উইকেট।
সেখান থেকে লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ার টানলেন দলকে। দু’জনেই রানের মধ্যে আছেন। আর পিচেও কোনও জুজু ছিল না। ধীরেসুস্থে এগোতে থাকলেন দু’জনে। তার মধ্যে চার মেরে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন রাহুল। শুক্রবারও পঞ্চাশ করেছিলেন তিনি। এদিন ৪৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর পথে তিনটি চার ও দুটো ছয় মারলেন তিনি। শ্রেয়াসেরও পঞ্চাশ নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। কিন্তু ঈশ সোধিকে ছয় মারতে গিয়ে টিম সাউদিকে ক্যাচ দিলেন তিনি। ৩৩ বলে তাঁর ৪৪ রানের ইনিংসে রয়েছে একটি চার ও তিনটি ছয়। তৃতীয় উইকেটে রাহুল-শ্রেয়াস যোগ করেছিলেন ৮৬ রান। শ্রেয়াস যখন ফিরেছিলেন, তখন জয়ের থেকে মাত্র আট রানের দূরত্বে ছিল ভারত। বাকি কাজটা রাহুলের সঙ্গে সারলেন শিবম দুবে (চার বলে ৮)।
ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। শার্দুল ঠাকুরের প্রথম ওভারে উঠেছিল ১৩ রান। তার মধ্যে মার্টিন গাপ্টিলই করেছিলেন ১২। যদিও তিনিই প্রথমে ফিরেছিলেন। ষষ্ঠ ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে ফিরলেন গাপ্টিল। ৪৮ রানে পড়েছিল কিউয়িদের প্রথম উইকেট। এর পর কলিন মুনরোর ক্যাচ নিয়েছিলেন কোহালি। এদিন দুর্দান্ত ফিল্ডিং করলেন তিনি। শুধু ক্যাচই নিলেন না, বাঁচালেন রানও। মণীশ পাণ্ডেও আউটফিল্ডে অসাধারণ ফিল্ডিং করলেন। সব মিলিয়ে ভারতীয় ফিল্ডিংকে এদিন দুরন্ত দেখাল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে শেষের দিকে টিম সেইফার্ট ২৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত না থাকলে অবস্থা আরও করুণ হত। কিন্তু অভিজ্ঞ রস টেলরকে ভারতীয় বোলারদের স্কিলের সামনে দিশেহারা দেখাল। তিনি ২৪ বলে করলেন মাত্র ১৮!
ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারতের ইনিংস। টিম সাউদির ষষ্ঠ বলে স্লিপে রস টেলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। সেই সাউদিই ফের আঘাত হানলেন।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে দেখা হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। আর সেই পরীক্ষায় লোকেশ রাহুলকে উইকেটকিপার হিসেবেই দেখছে ভারত। ফলে, ঋষভ পন্থের জায়গা হচ্ছে না প্রথম এগারোয়। বিরাট কোহলি জানিয়েছেন যে দলের পক্ষে সেরা ভারসাম্যের খোঁজেই রয়েছেন তাঁরা।