খাদ্যাভ্যাস দেখেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় বুঝে ফেললেন তাঁর বাড়ির শ্রমিকরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরোধী শিবিরে। উঠেছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও অন্যতম প্রিয় খাবার পোহা অর্থাৎ চিঁড়ে। তাহলে প্রধানমন্ত্রীও কি বাংলাদেশি? এমনও প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েছেন কৈলাস। এবার বিজেপি নেতার চিঁড়ে-কান্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্ণামঞ্চে বসে চিঁড়ে খেলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মালা রায়-সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, সায়ন্তন বসুর পর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এখন সমালোচনার কেন্দ্রে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে শ্রমিকদের চিঁড়ে খেতে দেখেই তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ জেগেছে কৈলাসের। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার সন্দেহ ওঁরা বাংলাদেশি ছিল। দু’দিন দেখার পর আমি বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিই। আমি পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি। কিন্তু সবাইকে সাবধান থাকার জন্য জানালাম।’ প্রধানমন্ত্রীর পোশাক মন্তব্যের পর খাদ্যাভাস নিয়ে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। টুইটে বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষককে বিঁধেছেন নেটিজেনরাও।
এই পরিস্থিতিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ‘চিঁড়ে’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে গতকাল বিকেলে ধর্মতলার ধর্ণামঞ্চে একত্রিত হন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এদিন ধর্মতলায় জড়ো হয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে বসে চিঁড়ের একাধিক পদ খাওয়াদাওয়া করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখান থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান তাঁরা। সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় সরব হতেও দেখা যায় তাঁদের।