গত ২৩ আগস্ট রানিগঞ্জে গিয়ে সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন। আর গতকাল সেখানেই ২৬৩ জন বিজেপি কর্মী দল ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। আর তারপরই সেই কার্যালয় তুলে দেওয়া হল রাজ্যের শাসকদলের হাতে। এই নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করলেন সেখানকার মেয়র তথা টিএমসি জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও জেলা দলীয় পর্যবেক্ষক কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরি। খোদ বাবুল সুপ্রিয়র গড়ে বিজেপির এহেন পদস্খলনে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
দলের এই কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় আশ্বাস দিয়েছিলেন এখানকার উন্নতি হবে। রাস্তার কাজ করা হবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে জেতার পরে সাংসদ তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো সেই কাজ করেননি। এমনই অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই কথা যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছয়, তখন তিনি এই রাস্তার জন্য ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন করেন। সেই টাকায় রাস্তার কাজও শুরু হয়ে গেছে। আমরা বলেছিলাম, যখন রাস্তার কাজ শুরু করা হবে, তারপরই এখানে বৈঠক করব।
মেয়র এদিন বলেন, ‘যারা এখানে বিজেপি কার্যালয় করেছিল, তাঁরাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে আমাদের দলে এসেছে। তাঁরাই বলেছে, এই ঘরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় হবে। সেই মতো এদিন কার্যালয়ের উদ্বোধন হল।’ তবে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দাবি, ‘ওই দলীয় কার্যালয়টি দখল করেছে তৃণমূল।’ কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষই তাঁদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন একেবারে। যেমন আমরাসোতার বাসিন্দা বিমল মণ্ডল বলেন, ‘এই ঘরটি আমার। আমরা স্থানীয়রা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিজেপিকে দলীয় কার্যালয় তৈরি করতে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই কর্মীরা বিজেপি ছেড়ে ছেড়ে দলে দলে তৃণমূলে যোগদান করেছি ও এই কার্যালয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হাতে তুলে দিয়েছি।