আজ ২৬ জানুয়ারির সকালেই পরপর জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্বের আসাম। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে চারটে বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এর মধ্যে তিনটে বিস্ফোরণ হয় ডিব্রুগড়ে এবং চরাইদেওয়ে একটি। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, সকাল সওয়া ৮টা থেকে ৮.২৫ মিনিটের মধ্যে সবকটি বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম বিস্ফোরণটি হয় চরাইদেওয়ের সোনারি থানার তেওকঘাটের কাছে একটি দোকানে। বাকি তিনটি বিস্ফোরণ হয় ডিব্রুগড়ের গ্রাহাম বাজার, এটি রোডে গুরুদ্বারের কাছে এবং দুলিয়াজান তিনিয়ালিতে। একেই প্রজাতন্ত্র দিবস, তাও আবার ছুটির দিন, ফলে লোকজন রাস্তায় খুব কম থাকায় হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলেই জানিয়েছে আসাম পুলিশ।
ডিব্রুগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ্মনাভ বড়ুয়া এদিন একটি জাতীয় সংবাদসংস্থাকে জানান, ‘দুলিয়াজান তিনিয়ালি বাজারের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে দুই মোটরসাইকেল আরোহী গ্রেনেড ছুঁড়ছে। তারপরই তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’ তিনি আরও জানান, গ্রাহাম বাজার এবং এটি রোডে বিস্ফোরণে টাইমার লাগানো আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিনের সাধারণতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছিল আলফা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠী। তাই প্রাথমিক ভাবে এটা আলফা জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা কাপুরুষের কাজ। রাজ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতেই এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা। আমরা দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’