কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে মানুষের হয়রানি অব্যাহত। প্যান কার্ডের পর এবার ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে যোগ করতে হতে পারে আধার কার্ড। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক মেনে নিয়েছে। তবে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে আইন মন্ত্রক। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়া আটকাতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বলে জানানো হয়েছে।
এখন ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রক। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়া আটকাতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বলে জানানো হয়েছে। আইনমন্ত্রকের নির্দেশের জবাবে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইলেকটোরাল রোল ডেটাবেস কোনওভাবেই আধার ইকোসিস্টেমের মধ্যে প্রবেশ করবে না বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনও।
গতবছর কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে লেখা একটি চিঠিতে। নির্বাচন কমিশন রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট ১৯৫০ এবং আধার অ্যাক্ট ২০১৬ – তে কয়েকটি সংশোধনীর প্রস্তাব করে। এই সংশোধনী কার্যকর হলে নির্বাচনী আধিকারিক ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলা বা ইতিমধ্যেই ভটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে , তাদের আধার নম্বর চাইতে পারেন । তবে কেউ তার আধার নম্বর বলতে না পারলেও ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে তা বাধা হবে না। আধার নম্বর না থাকলেও ভোটার তালিকা থেকে কারোর নাম বাদ যাবে না বলেও জানানো হয়েছে । আবার তথ্য সংগ্রহ করে অবৈধ ভোটারদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।