২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পিএফে ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার এখনও ঘোষণা করা না হলেও ওই সুদের হার কমিয়ে ৮.৪০ শতাংশ থেকে ৮.৫০ শতাংশ করা হতে পারে। চলতি মাসেই সেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষে সুদের হার ঘোষণা করে ইপিএফও। সেই ঘোষণার সময়ে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিপিএফ) সেই সময় কত সুদ দেওয়া হচ্ছে সেটাও বিচার করা হয়। বর্তমানে পিপিএফে ৭.৯ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। সে দিক থেকে বিচার করলেও ইপিএফে সুদ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার গত ছ’বছরের তলানিতে নেমে এসেছে। অন্য দিকে, টানা পাঁচ দফায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার ১.৩৫ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়েছে। ১০-বছর মেয়াদি কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণপত্রে সুদের রিটার্নও বর্তমানে ৬.৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ইপিএফের বিনিয়োগে রিটার্ন কমে যাওয়ার কারণেই চলতি আর্থিক বছরে সুদের হার কমাতে পারে ইপিএফও।
জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.৬৫ শতাংশ সুদ দেওয়ার পর ইপিএফ তহবিলে মাত্র ১৫১ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। ফলে, চলতি অর্থবছরে বিনিয়োগে ভাল লাভ না পেলে সুদের হার ৮.৬৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা ইপিএফও’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক, কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের পক্ষে খুব কঠিন হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ইপিএফের সদস্য কর্মীরা মোট যত টাকা অনুদান বাবদ জমা করেন তার ৮৫ শতাংশই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ঋণপত্র ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী আমানতে লগ্নি করে ইপিএফও। বাকি ১৫ শতাংশ তহবিল শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হয় এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) মারফৎ।