মেলবোর্ন পার্কে রজার ফেডেরার যখন ম্যাচটা জিতে উঠলেন স্থানীয় সময় রাত ১২.৪৮। তবে মুহূর্তটা নিশ্চয়ই টেনিস প্রেমীরা বহু দিন মনে রাখবেন। সুইস মহাতারকার ঐতিহাসিক ১০০তম অস্ট্রেলীয় ওপেন জয় এল যে। তাও অবিশ্বাস্য ভাবে। পাঁচ সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে টাইব্রেকারে। ফল ৪-৬, ৭-৬ (৭-২), ৬-৪, ৪-৬, ৭-৬ (১০-৮)। ফেডেরারের পাশাপাশি তৃতীয় রাউন্ডে জিতলেন নোভাক জোকোভিচও। স্ট্রেট সেটে সার্বিয়ান তারকার জয়ের চেয়েও বেশি হইচই অবশ্য ছিল ফেডেরারের দুরন্ত জয় নিয়েই।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিলেন সাত বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামস। শুক্রবার মেলবোর্ন পার্কে চীনের ওয়াং কিয়াংয়ের কাছে ৬-৪, ৬-৭ (২-৭), ৭-৫ সেটে হেরে যান ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মার্কিনী তারকা। আসলে সারা ম্যাচে সেরেনার ৫৬টি আনফোর্সড এরর’ই পার্থক্য গড়ে দেয়। ম্যাচ হেরে নিজের উপর বেজায় বিরক্ত সেরেনা। তাঁর কথায়, ‘একজন পেশাদার অ্যাথলিট হিসেবে আজ আমি অসংখ্য ভুলচুক করেছি। সত্যি বলতে কী, এর দায় সম্পূর্ণ আমার। আমি নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি। এটা একদমই অপেশাদারিত্বের পরিচয়।’
গত বারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ এ দিন ৬-৩, ৬-২, ৬-২ হারান ইয়োশিহিতো নিশিয়োকাকে। গোটা ম্যাচে ১৭টি এস সার্ভিস করেন জোকোভিচ। অস্ট্রেলীয় ওপেনে এ বার প্রথম রাউন্ড থেকেই সার্ভিসে দাপট দেখাচ্ছেন জোকোভিচ। জয়ের পরে তিনি বলেন, ‘‘এখানকার কোর্টে খেলাটা আমার পছন্দের। খুব স্বচ্ছন্দ বোধ করতে শুরু করেছি কোর্টে। এই অনুভূতিটা ধরে রাখাটাই লক্ষ্য।’’
আগেই উইম্বলডনে ১০০তম ম্যাচ জয়ের নজির গড়ে ফেলেছেন ফেডেরার। এ বার টেনিসের ইতিহাসে এক মাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দুটি ভিন্ন গ্র্যান্ড স্ল্যামে ম্যাচ জয়ের সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই আপাতত। দ্বিতীয় স্থানে জিমি কোনর্স। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে ৯৮টি জয় নিয়ে। তার পরে রাফায়েল নাদাল। ফরাসি ওপেনে নাদাল জিতেছেন ৯৩টি ম্যাচ। ‘‘উফ, কী কঠিনই না ছিল ম্যাচটা,’’ ম্যাচের পরে বলেন ফেডেরার। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ভাগ্য ভাল, ম্যাচ টাই ব্রেক ছিল। না হলে আমি হয়তো হেরেই যেতাম। কোথা থেকে কথা শুরু করব? আমার মনে হয়, জন দুর্দান্ত খেলেছে। ও অসাধারণ একজন লড়াকু খেলোয়াড়। ভাল মানুষও।’’