প্রথম থেকেই এনআরসি-সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরাও মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে প্রধান মুখ মমতা। দিনকয়েক আগে শশী থারুরও সরব হয়েছেন সিএএ-র বিপক্ষে। এনআরসি, এনপিআর প্রয়োগ করা বা না করার ক্ষমতা রাজ্যের হাতেই আছে। রাজ্য যদি না চায় তাহলে কেন্দ্রের পক্ষে এটা সারা দেশে প্রয়োগ করা সম্ভবপর নয়। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথাই বললেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে সমর্থন করে থারুর বলেছেন, ‘রাজ্যগুলি বলতেই পারে তারা এনপিআর–এনআরসি প্রয়োগ করতে দেবে না তাদের রাজ্যে কারণ এব্যাপারে তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।’
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার ব্যাখ্যা, যেহেতু সারা দেশের এতোগুলি রাজ্যে এনপিআর–এনআরসি লাগু করতে গেলে প্রচুর লোকবলের প্রয়োজন এবং সেই লোকবলের চূড়ান্ত অভাব রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেহেতু এজন্য রাজ্য সরকারের কর্মীদের উপরই কেন্দ্রকে দ্বারস্থ হতে হবে। তখন রাজ্যগুলির বলার পূর্ণ অধিকার আছে এব্যাপারে তারা কেন্দ্রের সহযোগিতা করবে না।