এদিন প্রথম টি-২০ তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামে ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল ও কলিন মুনরো মারমার কাটকাট ভঙ্গিতে চালাচ্ছিলেন। দু’জনের দাপটে ২৭ বলে পঞ্চাশে পৌঁছে গিয়েছিল রান। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে বিনা উইকেটে উঠেছিল ৬৮। প্রথম স্পেলে শার্দুল ঠাকুরের দুই ওভারে উঠেছিল ৩০ রান, শামির দুই ওভারে উঠেছিল ২২ রান। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন অলরাউন্ডার শিবম দুবে। তাঁর প্রথম ওভারে ফিরেছিলেন গাপ্টিল (১৯ বলে ৩০)। ছয় মারতে গিয়েছিলেন তিনি। ডিপ মিড উইকেটে রিলে ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ফেরালেন রোহিত শর্মা। প্রথম উইকেটে ৮০ রান যোগ করেছিল নিউজিল্যান্ড।
দ্বিতীয় উইকেটে মুনরোর সঙ্গে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন যোগ করেছিলেন ৩৬ রান। শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় স্পেলে যুজবেন্দ্র চহালকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। ৪২ বলে তাঁর ৫৯ রানে ছিল ছয়টি চার ও দুটো ছয়। ১১৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়েছিল কিউয়িদের। তৃতীয় উইকেট পড়ল ১১৭ রানে। রবীন্দ্র জাডেজার প্রথম ওভারে ফিরলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমি (০)। তাঁর লেগ গ্লান্স জমা হল শিবম দুবের হাতে।
চার মেরে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে উইলিয়ামসনের লাগল মাত্র ২৫ বল। বিধ্বংসী মেজাজে খেলছিলেন তিনি। তবে ফিরলেন তারপরই। ২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও চারটি ছয়। ১৭৮ বলে পড়েছিল চতুর্থ উইকেট। পঞ্চম উইকেট পড়ল ১৮১ রানে। উইকেটকিপার টিম সেইফার্ট (১) মারতে গিয়ে জশপ্রীত বুমরার বলে ক্যাচ দিলেন শ্রেয়াস আইয়ারকে। পরের দিকে টেলর ২৭ বলে বিধ্বংসী মেজাজে ৫৪ রান করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড দুর্দান্ত। আটবার ভারতকে হারিয়েছে তাঁরা। ভারত জিতেছে মাত্র তিন বার। ঘরের মাঠে ব্ল্যাক ক্যাপসরা আরও বিপজ্জনক। চারবার জিতেছে তাঁরা। নিউজিল্যান্ডে এসে কুড়ি ওভারের ফর্ম্যাটে ভারত মাত্র একবারই হারিয়েছে হোম টিমকে। ফলে, বিরাট কোহালির দলের সামনে এদিন কঠিন চ্যালেঞ্জ কিউয়ি বাহিনীর দুর্দান্ত ফর্ম।